শুধু তাই নয়, পর্যটকদের গতিবিধি যাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয় সে বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যের পর্যটন দফতরকেও। ১ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে এই সতর্কতাও ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে। পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার কমিশনারকেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে যাতে নর্দমাগুলি পরিষ্কার রাখা হয়৷ গাছ কাটা যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখার বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
তারই সঙ্গে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী জেলাশাসকদের প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে। ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে, তা নিয়েই মূলত আগাম সর্তকতামূলক ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভার পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, নদিয়াকে।
ইতিমধ্যেই নীচু এলাকার বাসিন্দাদের যাতে নিরাপদ স্থানে সরানো হয় সে বিষয়ে নির্দেশ রবিবারই রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে দেওয়া হয়েছিল এই জেলাগুলিকে। ইতিমধ্যেই ৩০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা কে নিচুস্থান থেকে আশ্রয় শিবিরে সরানো হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: প্রতি মাসে ১০০ টাকা ডোনেশন দিতে হবে পড়ুয়াদের, কর্নাটক সরকারের নিয়মে বিতর্ক
যার মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সন্দেশখালি, মিনাখা, হিঙ্গলগঞ্জের মতো জায়গাগুলি থেকে সাড়ে ৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমা, গোসাবার মতো জায়গাগুলি থেকে ৯ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগর ওয়ান, রামনগর দুই ব্লক এর মত জায়গা গুলি থেকে ১৬ হাজার বাসিন্দা কে নিরাপস্থানে সরানো হয়েছে। অন্যদিকে কালীপুজো থাকলেও ইতিমধ্যেই গোটা পরিস্থিতি সমান দিতে ছুটি বাতিল করেছে নবান্ন সোমবার দিনভর নবান্ন থেকে শীর্ষ পর্যায়ের আধিকারিকরা গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছেন। ৬ জেলাতে ৬ সচিবকেও দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাগুলির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার জন্য।
