এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তার উত্তরে এদিন রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যপাল বলেন- “উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার আইনি ব্যাখ্যা দিয়েছে। উপাচার্য নিয়োগের অধিকার আচার্যেরই রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে যে রাজ্য যে কোনও রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিষয়ে, মূলত উপাচার্য নিয়োগ প্রসঙ্গে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে পারে না।এটাই আমি বাংলায় আচার্য হিসেবে করেছি। আমি উপাচার্যদের এবং মন্ত্রী কে ডাকি আমি তাদের সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে বলি।”
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ ‘অনির্দিষ্টকালের জন্য’ বন্ধ হয়ে গেল রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়! কারণ কী? বাড়ছে রহস্য
কলকাতা হাইকোর্ট ও রায় দেয় রাজ্যপালের এক্তিয়ার রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যপাল বলেন, “সরকারের উপাচার্য নিয়োগে কোনো এক্তিয়ার নেই, কিন্তু আচার্য্যর ক্ষমতা রয়েছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। আইনিভাবে তিনি উপাচার্য নিয়োগ করতে পারবেন। আমি আইনের পথেই যাব।”
আরও পড়ুন: ছুঁড়ে ফেলবেন মোটা চশমা…! নাভিতে রোজ লাগান ‘এই’ দুই জিনিস, ‘চোখে’ দেখুন ম্যাজিক
প্রসঙ্গত কেরলের কান্নুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। রাজ্যপালের দ্বারা নিয়োগ করা উপাচার্যের জায়গায় আগের উপাচার্যকে পুনরায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় কেরলের রাজ্য সরকার। উপাচার্যকে পুনরায় নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কেরল সরকার যে কাজটা করেছে, সেটা পুরোপরি অযাচিত। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাজ্যপালের হাতে যে ক্ষমতা আছে, তাতে অকারণেই হস্তক্ষেপ করেছে কেরল সরকার।
আর সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ই পশ্চিমবঙ্গের জন্যও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। কারণ রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে একাধিকবার সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে রাজভবন এবং নবান্ন। রাজ্য সরকারের দাবি, কোনওরকম আলোচনা না করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিজের পছন্দের লোককে কোনোরকম পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই নিয়োগ করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।