যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সায়নদ্বীপ মিত্র আবার পাক্কা জার্মান ফুটবলের ভক্ত। তাঁর দল আগেই হেরে বিদায় নিয়েছে ফুটবলের বিশ্বযুদ্ধ থেকে। তিনি এখন বাকিদের সামলাতে ব্যস্ত। আবার এসএফআইয়ের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক সুদীপ সেনগুপ্ত আর্জেন্টিনার হাতে বিশ্বকাপ দেখার স্বপ্নে বিভোর। একই সঙ্গে লাতিন আমেরিকার দল আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের জন্য ব্রাজিল সমর্থকদের দিকে হাত বাড়িয়েছে। এরপরেই সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য গার্গী চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা দিয়েছেন "বাঁশ পাতা নই যে একটুতেই নড়ে যাব।"
advertisement
আরও পড়ুনঃ অঞ্চল প্রধানের স্বামীর নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি, তুমুল বিতর্ক পিংলায়
ব্রাজিলের অন্ধ ভক্ত কলতান দাশগুপ্ত যখন নিজের দলের ভাল খেলা দেখে পোস্ট করেছিল, "পরের রাউন্ডে গেলাম। সবার সঙ্গে ওখানে দেখা হবে না! এই ক'দিনের ধারা অনুযায়ী আগামী খেলায় ক্যামেরুনের সমর্থক ওদের দেশের জনসংখ্যা কে ছাড়িয়ে যাবে নিশ্চয়ই!" সেটা নিয়ে এখন আবার বাকিরা কাটাছেঁড়া শুরু করে দিয়েছে বাকিরা। কিছুদিন আগে ব্রাজিলের সমর্থন করে আর্জেন্টিনাকে কটাক্ষ করা সৃজনের ভাইরাল বক্তব্যের পাল্টা আক্রমণের কৌশল সাজানো শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে।
আরও পড়ুনঃ মৃত যুবকের পরনে টিপ, শাড়ি-ব্লাউজ-অন্তর্বাস! অদ্ভূত মৃত্যু ঘিরে শিলিগুড়িতে রহস্য
সবাই রাত জেগে খেলা দেখে। সবাই নিজেদের দলের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের উপরেও নজর রাখে। খেলা শেষ হলে ফেসবুক জুড়ে শুরু হয় যুদ্ধ। নিজের দলের হয়ে গলা ফাটানো। অপর পক্ষকে টিকা টিপ্পনী, কটাক্ষও চলে অনেক রাত পর্যন্ত। সংগঠনের বাকিরা একে অপরকে সমর্থন বা বিরোধিতা করতে জরো হয়ে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠেও যুদ্ধ বিরতি নেই বরং পরের ম্যাচে কী হবে তা নিয়ে চলে চর্চা। আবার একে অপরের মুখোমুখি হলে দেখে নেওয়ার হুমকিও চলতে থাকে প্রকাশ্যে।
তবে সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, এই যুদ্ধকে শত্রুতা নয় বরং ফুটবলের মাধ্যমে বন্ধুতের বার্তা দেওয়া বোঝাতে চায় তাঁরা। গত শুক্রবার এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলন উপলক্ষে কলকাতার ধর্মতলা থেকে মৌলালি রামলীলা পার্ক পর্যন্ত মিছিলে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সব দলের জার্সি পরা হয়েছিল। ধর্ম-বর্ণ-ভাষা সবকিছুর ভেদাভেদের বিরুদ্ধে ঐক্যের বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল সংগঠনের তরফে। যদিও এতকিছুর পরেও ব্রাজিলের হলুদ-সবুজ সমর্থকেরা আসমানি রংটিকে ফুটপাতে এনে নীল-সাদা আর্জেন্টিনার সমর্থকদের কটাক্ষ করেই চলে।
UJJAL ROY