TRENDING:

Kolkata Tram| CPIM|| ট্র্যাকে ট্রাম ফেরাতে মরিয়া, শহরের রাস্তায় নামল সিপিআইএম

Last Updated:

Kolkata Tram: বেশকিছু রুটে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে ট্রাম। আর এই ট্রাম বন্ধ হওয়ার পিছনে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উপর দায় চাপাচ্ছে সিপিআইএম।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতাঃ কলকাতার রাস্তায় দিন দিন কমছে ট্রামের সংখ্যা। রাজ্য সরকারের উপর দায় চাপিয়ে আন্দোলনে নামলো সিপিআইএম কলকাতা জেলা কমিটি। শুক্রবার ছিল ট্রামের কলকাতায় চলার ১৫০ বছর। এ দিনই এই ঐতিহ্যমণ্ডিত যানকে তুলে দেওয়ার অভিযোগে সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির ডাকে কলকাতার ১০টি ট্রাম ডিপো এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হল দলের তরফে।
কলকাতা ট্রাম
কলকাতা ট্রাম
advertisement

পার্টি নেতৃত্বের দাবি, সাধারণ মানুষের স্বার্থে যে কোনওভাবেই ট্রামকে বাঁচাতে হবে। এজন্যে অবিলম্বে পুরানো সমস্ত ট্রাম রুটগুলি চালু করতে হবে। সরকারি ব্যয় বরাদ্দে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে ট্রামের সম্পদ ও জমিকে। না হলে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে উত্তাল হবে লাল ঝান্ডা। কলকাতার উলটোডাঙ্গা, বেলগাছিয়া, রাজাবাজার, ধর্মতলা, নোনাপুকুর, গড়িয়াহাট, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, কালীঘাট, খিদিপুর ট্রামডিপোর সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম নেতৃত্ব ও কর্মীরা। উলটোডাঙ্গা ট্রাম ডিপোর সামনে উপস্থিত ছিলেন সিপিএম কলকাতা জেলা কমিটির সম্পাদক কল্লোল মজুমদার।

advertisement

আরও পড়ুনঃ ট্রাম হারাতে দেব না, কলকাতার আবেগ ছুঁতে ট্রাম বাঁচাও আন্দোলনে সিপিআইএম

এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ ব্যানার্জি, কনীনিকা ঘোষ, দেবাঞ্জন চক্রবর্তী, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, দেবেশ দাস, রত্না দত্ত, মধুজা সেন রায়, সুদীপ সেনগুপ্ত, ফৈয়াজ আহমেদ খান সহ নেতৃবৃন্দ। পূর্বে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার কলকাতার ট্রামের ১৫০ বছর পূর্তির দিনে বিক্ষোভ আন্দোলনে শামিল হয়ে ‘ট্রাম বাঁচাও’-এর দাবিতে সোচ্চার হলেন পার্টি নেতৃত্ব ও কর্মীরা।

advertisement

নেতৃত্বের দাবি, মা ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার পর পার্ক সার্কাস ট্রাম ডিপো এলাকায় ট্রাম চালাতে এখন কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কোনও উদ্যোগ নেই সরকারের। একইভাবে বেলগাছিয়া ও শিয়ালদহে দুর্বল ব্রিজের অজুহাতে ট্রাম বন্ধ রাখা হয়েছে কিন্তু ট্রামের থেকেও অত্যন্ত ভারী পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলে কোনও নিষেধাজ্ঞা বা নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের।

উল্টোডাঙ্গা ট্রাম ডিপো থেকে কোনও কারণ ছাড়াই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ট্রাম চলাচল। অথচ যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে রাস্তায়। ২০১১ সালে যেখানে কলকাতার ৩৭টি রুটে ট্রাম চালানো হতো, গাড়ি মজুত ছিল প্রায় ২২০টি। তার মধ্যে প্রতিদিন চালানো হতো ১০০ থেকে ১১০টি। এখন অর্থাৎ ২০২৩ সালে মাত্র ২টি রুটে ট্রাম চালানো হয়। এখন মজুত ট্রামের সংখ্যা ২০টি, চলে দিনে ১১ থেকে ১২টি। স্থায়ী কর্মীর সংখ্যাও কমেছে হুহু করে। কিন্তু এখনও ৭৫ থেকে ৮০টি ট্রাম এমন অবস্থায় আছে যে পুরানো রুট চালু করে সেগুলিকে নিয়মিত চালানো সম্ভব।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

UJJAL ROY 

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Tram| CPIM|| ট্র্যাকে ট্রাম ফেরাতে মরিয়া, শহরের রাস্তায় নামল সিপিআইএম
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল