ত্রিপুরায় দীর্ঘদিন বামফ্রন্ট সরকারের পতনের পর বর্তমানে সেখানে বিজেপির সরকার পরিচালিত হচ্ছে। সিপিআইএমের অভিযোগ, পালা বদলের পর থেকে রাজ্যে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দলের নেতা, কর্মী সমর্থকেরা আক্রান্ত হয়েছে। পার্টি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। তাই বিজেপি সরকারকে উৎখাত করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর পক্ষে সায় দিয়েছে রাজ্যের সংখ্যা গরিষ্ঠ নেতা। বেশ কয়েক প্রস্ত আলোচনার করার পর আসন সমঝোতায় কিছু সমস্যা ছাড়া জোট করতে আর কোনও সমস্যা নেই। জট কাটাতে নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ করতে পারেও বলেও দলীয় সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জানুয়ারির গরম ভাঙল রেকর্ড! হাওয়া অফিসের তাপমাত্রার পরিসংখ্যান আতঙ্কিত হওয়ার মতোই
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে তা নিয়ে রীতিমতো আলোচনাও চলে। আর এই জায়গাতেই আলিমুদ্দিনের নৈতিক জয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কেনও? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, রাজ্যে পালাবদলের পর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার কথা বলেছিলেন বাংলার নেতারা। ত্রিপুরায় তখন সিপিআইএমের প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। তাই বাংলার তত্ত্ব কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিরুদ্ধে বরাবরই সুর চড়িয়েছে ত্রিপুরার নেতারা।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ার অযোধ্যায় শুধুই কি পাহাড়? এই ২ জায়গায় ঘুরুন, আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য
জোটপন্থী হওয়াতে কটাক্ষও শুনতে হয়েছে বাংলার নেতাদের। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে জোট হলেও রাজনৈতিক ফসল ওঠেনি। তা নিয়েও রাজ্য নেতৃত্বের সমলোচনা কম হয়নি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন ত্রিপুরাকে এখন সেই জায়গায় এনে হাজির করেছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চিরশত্রু কংগ্রেসের হাত ধরতে চাইছে ত্রিপুরার নেতারা। আর সুযোগ বুঝে সেই কটাক্ষ ফিরিয়ে দিল বাংলার নেতারা।
কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের প্রথম দিনে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম জানিয়েছেন, কেনও এবং কোন পরিস্থিতিতে ত্রিপুরায় কংগ্রেস ও ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দলগুলির সঙ্গে আসন সমঝোতায় যেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে গোটা ত্রিপুরার অবস্থা ভয়ঙ্কর। সেই কারণেই জোটবদ্ধ লড়াই ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা ছিল না। সিট এডজাস্টমেন্ট নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কিছু সমস্যা হচ্ছে। জট ছাড়াতে আলোচনা চলছে। তবে এই ভোটে বিজেপিকে রুখতে অলআউট ঝাঁপাতে হবে।"
UJJAL ROY