পার্টি একসময়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস না রাখলেও কালের পরিবর্তনে ভোট রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু ভোটের ময়দানে ভালো করে পা জমাতে না পারায় নির্বাচনী প্রতীক ছিল না লিবারেশনের। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হত। তবে বিহারে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলে অবশেষে প্রতীকের স্বীকৃতি আদায় করে নেয় দল। পতাকার উপরে তিনটে তাঁরা সেই প্রতীক নিয়েই গত লোকসভা নির্বাচনে মাঠে নেমেছিলো লিবারেশন। কিন্তু এ বারে সেই চিহ্নের স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেবাশীষ কুমার গরীবের মসিহা,জনগণের বন্ধু
১৯৮৯ সালে ভোটের ময়দানে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে লিবারেশন। বিহারের আড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে আইপিএফ বা ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের নামে প্রার্থী দাঁড় করানো হয়। এবং সেই আসনটি জিতে সংসদে প্রথম প্রতিনিধি পাঠায় লিবারেশন। ১৯৯০ সাল থেকে দলের নামেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকে এই নকশালপন্থী সংগঠন। বর্তমানে সংসদীয় গণতন্ত্রে ভরসা করেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ম করে ভোটের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে আসছে পার্টি।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে বিদ্রোহী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি!
ভোট রাজনীতির সমস্যার কথা তুলে ধরে পার্থ ঘোষ বলেন, "আগে যখন আমরা নির্বাচন বয়কট করতাম, যখন বিকল্প পথের কথা বলতাম তখন শাসক বলতো ওই পথে কেন আছো। এখন যখন নির্বাচনী রাজনীতিতে এলাম এখন বলছে এই পথে কেন এসেছো।" এক প্রবীণ নকশাল নেতা বলেন, "নির্বাচনে অংশগ্রহণ রাজনৈতিক দলগুলিই স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন তোলে। আর বিভিন্ন জায়গায় যথেষ্ট বন্দুকের ব্যবহারও করে সেইসব দলের কিছু নেতা। কিন্তু কোনও নকশালপন্থী সংগঠন মানুষের দাবি নিয়ে গণতন্ত্রে বিশ্বাস রেখে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা যখন বলে তখন তাঁদের সবসময় সহযোগিতা করা হয় না।"
উজ্জ্বল রায়