TRENDING:

Kolkata Municipality Election: কলকাতা পুরভোটে প্রতীক পাচ্ছে না লিবারেশন, দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশনের

Last Updated:

CPIM Liberation not getting their symbol in KMC election: ১৯৮৯ সালে ভোটের ময়দানে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে লিবারেশন। বিহারের আড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে আইপিএফ বা ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের নামে প্রার্থী দাঁড় করানো হয়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে প্রতীক পায়নি দল। আর তাই নিয়ে এ বার কমিশনের দ্বারস্থ হল সিপিআইএম (লিবারেশন) (CPIML)। কলকাতা পুর (KMC) নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে দল। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রতীক মিলছে না বলে দাবি লিবারেশনের। সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে দলের তরফে নির্বাচনী প্রতীকের জন্য দরবার করে প্রতিনিধি দল। দলের নেতা বাসুদেব বসু জানিয়েছেন, "রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এখনও 'রেজিস্ট্রার' হয়নি জাতীয় প্রতীক। তাই নিজেদের প্রতীক পাওয়ার দাবিতে কমিশনের দারস্থ হয়েছি। কমিশনের কাছে আশ্বাস মিললেও এখনও তা চূড়ান্ত নয়। প্রতীক পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ শুরু হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।"  দলের প্রথম সারির নেতা পার্থ ঘোষ বলেন, "প্রতীকের জন্য যতদূর যেতে হয় যাব। জাতীয় নির্বাচন কমিশন স্বীকৃতি দিয়েছে। সারা দেশেই একটি প্রতীক আমরা ব্যবহার করতে পারব। রাজ্য নির্বাচন কমিশন অজুহাত দিচ্ছে। এর পিছনে কী কারণ আছে বলতে পারব না।"
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
advertisement

পার্টি একসময়ে সংসদীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস না রাখলেও কালের পরিবর্তনে ভোট রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু ভোটের ময়দানে ভালো করে পা জমাতে না পারায় নির্বাচনী প্রতীক ছিল না লিবারেশনের। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হত। তবে বিহারে গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলে অবশেষে প্রতীকের স্বীকৃতি আদায় করে নেয় দল। পতাকার উপরে তিনটে তাঁরা সেই প্রতীক নিয়েই গত লোকসভা নির্বাচনে মাঠে নেমেছিলো লিবারেশন। কিন্তু এ বারে সেই চিহ্নের স্বীকৃতি পাওয়া যাচ্ছে না।

advertisement

আরও পড়ুন: ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেবাশীষ কুমার গরীবের মসিহা,জনগণের বন্ধু

১৯৮৯ সালে ভোটের ময়দানে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে লিবারেশন। বিহারের আড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে আইপিএফ বা ইন্ডিয়ান পিপলস ফ্রন্টের নামে প্রার্থী দাঁড় করানো হয়। এবং সেই আসনটি জিতে সংসদে প্রথম প্রতিনিধি পাঠায় লিবারেশন। ১৯৯০ সাল থেকে দলের নামেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে থাকে এই নকশালপন্থী সংগঠন। বর্তমানে সংসদীয় গণতন্ত্রে ভরসা করেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ম করে ভোটের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে আসছে পার্টি।

advertisement

আরও পড়ুন: বিজেপিতে বিদ্রোহী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! তিস্তা বিশ্বাসের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক দাবি!

ভোট রাজনীতির সমস্যার কথা তুলে ধরে পার্থ ঘোষ বলেন, "আগে যখন আমরা নির্বাচন বয়কট করতাম, যখন বিকল্প পথের কথা বলতাম তখন শাসক বলতো ওই পথে কেন আছো। এখন যখন নির্বাচনী রাজনীতিতে এলাম এখন বলছে এই পথে কেন এসেছো।" এক প্রবীণ নকশাল নেতা বলেন, "নির্বাচনে অংশগ্রহণ রাজনৈতিক দলগুলিই স্বচ্ছতা নিয়ে অনেক সময় প্রশ্ন তোলে। আর বিভিন্ন জায়গায় যথেষ্ট বন্দুকের ব্যবহারও করে সেইসব দলের কিছু নেতা। কিন্তু কোনও নকশালপন্থী সংগঠন মানুষের দাবি নিয়ে গণতন্ত্রে বিশ্বাস রেখে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের কথা যখন বলে তখন তাঁদের সবসময় সহযোগিতা করা হয় না।"

advertisement

উজ্জ্বল রায়

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Municipality Election: কলকাতা পুরভোটে প্রতীক পাচ্ছে না লিবারেশন, দ্বারস্থ নির্বাচন কমিশনের
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল