এরকম বিপর্যয়ের পর্যলোচনা করতে বুধবার দু’দিনের বৈঠকে বসেছিল সিপিএমের রাজ্য কমিটি। সেখানেই আলোচনায় উঠে আসে যে গরিব মানুষ ভোট না দেওয়ায় এই শোচনীয় ফল হয়েছে৷ গরিব মানুষের কাছে এখনও বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠতে পারেনি দল। সে কারণেই এবারের নির্বাচনেও বিপর্যয় আটকানো যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য কমিটির বৈঠকের প্রথম দিন এটাই ছিল মূল নির্যাস।
advertisement
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটেও কেন কাটল না শূন্যের গেরো? জেলার রিপোর্টে চিন্তা বাড়ল সিপিএমের
একই সঙ্গে রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের রিপোর্টের স্বীকার করা হয়েছে, তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি এবং বিজেপির বিকল্প তৃণমূল- এই বিশ্বাস থেকে এখনও মানুষকে বের করে আনা যায়নি। আর সে কারণেই এবারের নির্বাচনে বিজেপি অনেক বেশি নিষ্ক্রিয় থাকলেও ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। বেশ কিছু কেন্দ্রে বিজেপি এতটা ভোট পাবে তা ধারণার বাইরে ছিল। বেশ কিছু জেলায় সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টিও সামনে উঠে এসেছে।
রাজ্যে লোকসভা ভোটের ফল নিয়ে আলোচনার জন্য বুধবার থেকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে হয়েছে সিপিএমের দু’দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সিপিএম সূত্রের খবর, রাজ্য সম্পাদক স্বীকার করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে বেশ কিছুটা দেরি হয়েছে। আইএসএফ ও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে প্রার্থী ঘোষণা করতে অনেকটা সময় লেগেছে। শরিক দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বৈঠকে।
ফলাফলে বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে মূলত যে বিষয়গুলি আলোচনায় উঠে এসেছে তা হল, সরকারি সামাজিক প্রকল্পে উপকৃত মানুষ তৃণমূলের উপর আস্থা রেখেছেন।গ্রামবাংলায় সংগঠন এখনও ভোটে জেতার মতো জায়গায় নিজেদের তুলে ধরতে পারেনি। তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি এবং বিজেপির বিকল্প তৃণমূল, এই তত্ত্বেই সিলমোহর দিয়েছেন ভোটাররা। কিছু জেলার নেতৃত্বের ভূমিকাও যথেষ্ট ইতিবাচক ছিল না। গরিব মানুষের কাছে এখনও দলকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলে ধরা যাচ্ছে না। ইন্ডিয়া জোটে একই মঞ্চে তৃণমূলের সঙ্গে থাকা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সীতারাম ইয়েচুরি। শাখা স্তর থেকে আলোচনা তুলে নিয়ে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্য কমিটি৷