যেখানে উপস্থিত থাকার কথা কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং রাজ্য বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। সেই কর্মসূচিতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফেও সবুজ সংকেত মিলেছে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: ওষুধের কী প্রয়োজন! এই ৩ ফল খান, শরীরে যা পরিবর্তন ঘটবে, অভাবনীয়! কোন তিন ফল?
advertisement
কেন নীতীশ কুমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে? দলের তরফে মহম্মদ সেলিম ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, “জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন নীতীশ কুমারের রাজনীতির আকাশে উত্থাপন। জ্যোতি বসুর সঙ্গে নীতীশের সখ্যতাও ছিল। তাই এই রকম একটা কর্মসূচিতে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।”
আরও পড়ুন: সে কী! জয়দেবের মেলায় অনুব্রত মণ্ডল! কীভাবে সম্ভব? জেলাজুড়ে জোর চর্চা
যদিও রাজনৈতিক মহল এর পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছে। তারা মনে করেন, বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট গঠনে নীতীশ কুমারের বড় ভূমিকা ছিল ৷ সেই জোটে নীতীশের জেডিইউ-এর সঙ্গে যেমন বামেরা রয়েছে, তেমনই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ নীতীশের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সখ্যতা থাকলেও বাংলায় বাম ও তৃণমূলের সম্পর্ক প্রতিপক্ষের।
আগামী লোকসভা নির্বাচনেও ইন্ডিয়া জোটের এই দুই শরিকের মধ্যে লড়াই হতে চলেছে৷ ফলাফল যাই হোক না কেনও প্রচারের সময় স্বাভাবিক ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে শব্দাস্ত্রে ধার দেবে। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের মঞ্চে দাঁড় করিয়ে বার্তা দিতে চাইছে সিপিএম। আবার সেই মঞ্চ ব্যবহার করে নীতীশ কুমার কী বার্তা দেন সে দিকেও তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জ্যোতি বসু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জন্য রাজারহাটে পাঁচ একর জমি দিয়েছিল হিডকো ৷ কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর আটকে যায় জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া ৷ এ নিয়ে সিপিআইএমের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয় ৷ বহু টালবাহানার পর জ্যোতি বসু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের জন্য রাজারহাটে বরাদ্দ পাঁচ একর জমি হস্তান্তর করে রাজ্য সরকার ৷ সিপিআইএম নেতা রবীন দেবের হাতে জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়।