সম্প্রতি ফেসবুকে একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেখানে গৌরব মাসের গল্প’ লিখেছেন সুপ্রভা রায়। তিনি লেখেন, “সুচেতনা থেকে আজ সে সুচেতন।পিপলস রিলিফ কমিটির আয়োজিত এলজিবিটিকিউআইএ+ মানুষদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মশালায় ওর সাথে প্রথম আলাপ। হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটিই সুচেতন। নিজেই নিজের কাছে বহু প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে সুচেতন। নিজের গল্পটা নিজের পরিসরে ধরে রাখা ছিল তাঁর। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মশালায় কমিউনিটির ও কমিউনিটির বাইরের এত মানুষদের অংশগ্রহণে ভীষণভাবে অনুপ্রেরণা পেয়েছে সুচেতন।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ বুদ্ধ-কন্যার বিরাট সিদ্ধান্ত, করবেন লিঙ্গ পরিবর্তন! সুচেতনা হচ্ছেন ‘সুচেতন’
তিনি আরও লিখেছেন, “পিতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। মা মীরা ভট্টাচার্যের কিছুদিন আগেই বুকে নতুন করে পেশমেকার বসেছে।তারই মধ্যে সুচন্দাকে পেয়েছেন জীবনসাথী হিসেবে। একইসঙ্গে ঘর বেঁধেছেন সুচেতন ও সুচন্দা। সুচেতন একটি অডিও ভিজুয়ালে ফ্রি ল্যান্সিং এর কাজ করে আর সুচন্দা একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।”
পোস্টে উল্লিখিত, “শারীরিক লিঙ্গ পরিচয় যাইহোক না কেন, ছোটবেলা থেকেই নিজেকে ছেলে মনে করা সুচেতন পেয়েছে পারিবারিক প্রেরণা।তার বাবাই তাকে ছোটবেলায় গালে সাবান লাগিয়ে দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে দিতেন। তাই নিজের প্রবণতায় তার বেড়ে ওঠা হয়ে উঠেছে স্বচ্ছন্দেই।শরীরে, মনে, সামাজিক প্রকাশনায় ট্রান্সম্যান রূপেই পরিচিত হয়েছে সুচেতন। কিন্তু এ বার সে বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে তৃতীয় লিঙ্গের ও প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের সংগ্রামে অবতীর্ণ করতে চায় নিজেকে।আর সেদিনের পর থেকে নিজের ভিতর আটকে থাকা সুচেতন এখন অনেক বেশি স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে উঠেছে।এলজিবিটিকিউআইএ+ কমিউনিটির মানুষদের জীবন যন্ত্রণা ও লড়াই সংগ্রামের সঙ্গে মিশতে চলেছে সুচেতন। আমাদের লড়াই তে যুক্ত হল আরও এক যোদ্ধা। সার্থক হোক ওর সুচেতনা থেকে সুচেতন হওয়ার লড়াই। মৌলবাদ, পুঁজিবাদ ও ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আমাদের মিলিত অগ্রগতি তে সার্থক হোক ওর অংশগ্রহণ। সবাই ওর পাশে থাকুন,আমাদের সাথে থাকুন।”
এ দিন নিজের সুচেতনা থেকে সুচেতন হওয়া প্রসঙ্গে সুচেতন বলেন, “সমাজের এই অংশের মানুষরা কখনওই সমাজের মূল স্রোত থেকে আলাদা নয়। তারাও এই সমাজেরই একটা অংশ। তাই তাদের পাশে দাঁড়াতে সব রাজনৈতিক দল এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে আবেদন জানাই।”
AVIJIT CHANDA