শনিবার শক্তিগড়ে শুট আউটে খুন হন কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা। সেই রাজু ঝায়ের গাড়িতেই নাকি দেখা গিয়েছিল গরু পাচার কাণ্ডের এই অভিযুক্ত আব্দুল লতিফকে। সেসময় আব্দুল লতিফের গাড়িতে আব্দুল লতিফ, রাজু ঝা, আব্দুল লতিফের চালক ও ব্রতীন মুখোপাধ্যায় আসছিলেন। শক্তিগড়ে অন্য একটি নীল গাড়ি করে এসে দুষ্কৃতীরা গুলি করে লতিফের গাড়িতে সওয়ার রাজুকে। তাতেই মৃত্যু হয় কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের। ভাইরাল ভিডিওয় ধরা পড়ে আব্দুল লতিফের ছবিও। এরপরই ওঠে প্রশ্ন। যিনি পলাতক তিনি রাজু ঝা সঙ্গে কি করছিলেন?
advertisement
প্রশ্ন ওঠে কয়লা মাফিয়া রাজু এবং গরু কাণ্ডে অভিযুক্ত লতিফ কী ভাবে পরস্পরকে চিনলেন, কী ভাবেই বা পরস্পরের কাছাকাছি এলেন? তবে কি সবটাই একে অপরের সঙ্গে যুক্ত? ওই ঘটনার পরপরই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে সিবিআই।
ইডি সূত্রে খবর, ২৯ মার্চ ইডির দিল্লিতে সদর দফতরে তলব করা হয় লতিফকে। সেইসময় কেমোথেরাপি চলছে বলে জানিয়ে হাজিরা এড়ান গরুপাচারে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী। দিল্লিতে ইডি দফতরে না গেলেও, তলবের দু’দিন পরে, শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা-কে খুনের সময় উপস্থিত ছিলেন আবদুল লতিফ। প্রশ্ন উঠছে, সিবিআইয়ের খাতায় ফেরার, ইডি-র তলবে গরহাজির থাকার পরেও, কীভাবে প্রকাশ্যে ঘুরছিলেন গরুপাচারের কিংপিন? নেপথ্যে প্রভাবশালী-যোগ? ওঠে প্রশ্ন।
এবার তাই সিবিআই আব্দুল লতিফের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে সিবিআই। অর্থাৎ, প্রোক্লেম অফেনডার হিসাবে আব্দুল লতিফকে ঘোষণা করার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে সিবিআই।
ARPITA HAZRA