তবে বিদেশের দুর্গাপুজো আশা জাগাচ্ছে প্রতীমা শিল্পীদের মনে৷ আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে করোনার দাপট কমার ফলে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে জীবন৷ ছন্দে ফিরছে জীবনের গতি৷ তাই এই সব জায়গায় বাঙালি সংগঠনগুলি পুজোর আয়োজন শুরু করেছে৷ কুমারটুলিতে প্রতিমারও অর্ডার এসেছে৷ আপাতত মা-কে বিদেশে পাঠিয়েই আয়ের স্বপ্ন দেখছেন শিল্পীরা৷ এই মাস থেকে সমুদ্র পথে বা বিমানে দুর্গা প্রতিমা পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে৷
advertisement
আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও ইতালিতে ১২টি ফাইবারগ্লাসের প্রতিমা পাঠিয়েছেন প্রতিমা শিল্পী কৌশিক ঘোষ৷ তাঁর তৈরি আরও বেশ কিছু প্রতিমা উড়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায়৷ এরফলে গতবারের তুলনায় আয় কিছুটা বেড়েছে, বলছেন কৌশিক ঘোষ৷ অন্য এক শিল্পী বাসুদেব পাল বলছেন যে, তাঁর তৈরি প্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে জার্মানি৷ জাপানের টকিও শহরে পাড়ি দেবে তাঁর তৈরি প্রতিমা৷
ছ’ফুটের ফাইবারগ্লাসের প্রতিমার ওজন ২০০ থেকে ২৫০ কেজি৷ যা খুব সহজেই বিদেশে পাঠানো যায়৷ খুব ভাল করে বাবল শিটে মুড়ে কাঠের বাক্সে তা পাঠানোর ব্যবস্থা করেন শিল্পীরা৷ এর সঙ্গে এখন জুড়েছে স্যানিটাইজের রীতি৷ সাধারণত কাজের চাপ থাকলে বিদেশে প্রতিমা পাঠানো হয় এপ্রিল-মে মাসে৷ কারণ তারপর থেকে শুরু হয় কলকাতার প্রতিমা তৈরির কাজ৷ তবে এবছর সেই চাপ নেই৷ তাই ধীরে সুস্থে কাজ করছেন শিল্পীরা৷ ইতিমধ্যেই বহু জায়গায় প্রতিমা পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে৷
গত বছর থেকেই আয়ে টান পড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের৷ কারণ ২০২০ দুর্গাপুজোয়ে তেমন সাড়া মেলেনি৷ এরপর সরস্বতি পুজোতে করোনার প্রভাবে বাজার মন্দাই ছিল৷ এখন বিদেশের প্রতিমা পাঠিয়ে কিছুটা হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা৷