অন্যদিকে, পার্ক সার্কাস এলাকার ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ২০০-র উপরে করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা আগের মতো চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই মুহুর্তে শুধুমাত্র জরুরি অস্ত্রোপচারকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। অন্য সবরকমের অস্ত্রোপচার বা প্ল্যানড ওটি, যা পরে করলেও চলবেও, তা আপাতত বন্ধ রাখা হবে।
advertisement
আউটডোর পরিষেবা বা হাসপাতালের বহির্বিভাগ-ও নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে
। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন সার্জেন এবং অ্যানাসথেসিওলজিস্ট-ও কোভিড পজিটিভ, কাজেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ফলে, শুধু এমার্জেন্সি ওটিকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল মেডিক্যালে আপাতত খোলা বহির্বিভাগ, প্রাধান্য শুধুমাত্র জরুরি অস্ত্রোপচারে
রাজ্যে একলাফে ফের বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ১৮,২১৩। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ হয়েছে আরও ৭৪৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুই হয়েছে আরও ১৮ জনের।
এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তবুও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এবার জমায়েতে লাগাম টানতে শহর ও শহরতলির একাধিক বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্থানীয় পুরসভা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর তেমনই রয়েছে বারাকপুর, দক্ষিণ দমদমের (South Dum Dum) মতো এলাকা।
কলকাতার একাধিক আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রোজই বাড়ছে এই সংখ্যাটা। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশও। বাজারগুলিতেও ‘নো মাস্ক, নো সেলে’ জোর দেওয়া হয়েছে। চলছে জীবাণুমুক্তকরণও। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর বাজার। শনি-রবিবার ছাড় দিলেও ফের সোম এবং মঙ্গলবার বাজার বন্ধ রাখা হবে বলে খবর। সংক্রমণ ঠেকাতেই এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
কামারহাটি পুরসভা ৩৫টি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও একইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা বলা হয়, ১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ কামারহাটি, দক্ষিণেশ্বর, আড়িয়াদহের মতো এলাকাগুলিতে সপ্তাহে তিনদিন ( সোম. বুধ এবং শুক্রবার) সমস্ত ধরনের বাজার, পাড়ার দোকান বন্ধ রাখা হবে। বাকি তিনদিন অর্থাৎ (মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার) ১৬-৩৫ নং ওয়ার্ড বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে। ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হবে নয়া নিয়ম।