TRENDING:

Covid In Kolkata: খোলা শুধু বহির্বিভাগ, বাকি সব পরিষেবা বন্ধ চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে

Last Updated:

২ জন চিকিৎসক ছাড়া বাকি সব চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#কলকাতা: নতুন বছর শুরু হতে না হতেই দাঁত-নখ বের করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস করোনা! রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ, আরও ভয়ঙ্কর কলকাতার অবস্থা! তৃতীয় ঢেউয়ের দাপটে ইতিমধ্যেই ধাক্কা খেয়েছে শহরের চিকিৎসা পরিষেবা। একের পর এক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতালগুলিতে সমস্যা বাড়ছে নিত্যদিন। হাজরার চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে-র এমারজেন্সি অর্থাৎ জরুরি বিভাগ ছাড়া বাকি সমস্ত পরিষেবা বন্ধ। ২ জন চিকিৎসক ছাড়া বাকি সব চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত। এছাড়া,প্রিন্সিপাল সুপার, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারদের মধ্যে সিংহভাগই মারণভাইরাসের কবলে কাবু! বেশিরভাগ মেডিক্যাল ল্যাব টেকনিশিয়ানরাও কোভিড পজিটিভ। ৩০ জনের ওপর নার্সও করোনা আক্রান্ত।
advertisement

আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীর অভাবে পুরসভার করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র কমাতে বাধ্য হতে পারে কর্তৃপক্ষ, ইঙ্গিত ডেপুটি মেয়রের

অন্যদিকে, পার্ক সার্কাস এলাকার ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ২০০-র উপরে করোনায় আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে পরিষেবা আগের মতো চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই মুহুর্তে শুধুমাত্র জরুরি অস্ত্রোপচারকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে। অন্য সবরকমের অস্ত্রোপচার বা প্ল্যানড ওটি, যা পরে করলেও চলবেও, তা আপাতত বন্ধ রাখা হবে।

advertisement

আউটডোর পরিষেবা বা হাসপাতালের বহির্বিভাগ-ও নিয়ন্ত্রিত করা হচ্ছে

। হাসপাতালের বেশ কয়েকজন সার্জেন এবং অ্যানাসথেসিওলজিস্ট-ও কোভিড পজিটিভ, কাজেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ফলে, শুধু এমার্জেন্সি ওটিকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ন্যাশনাল মেডিক্যালে আপাতত খোলা বহির্বিভাগ, প্রাধান্য শুধুমাত্র জরুরি অস্ত্রোপচারে

রাজ্যে একলাফে ফের বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে হয়েছে ১৮,২১৩। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পজিটিভ হয়েছে আরও ৭৪৮৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাভাইরাসে মৃত্যুই হয়েছে আরও ১৮ জনের।

advertisement

এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতিমধ্যে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। তবুও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এবার জমায়েতে লাগাম টানতে শহর ও শহরতলির একাধিক বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে স্থানীয় পুরসভা। এর মধ্যে যেমন রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর, ক্যানিং, বারুইপুর তেমনই রয়েছে বারাকপুর, দক্ষিণ দমদমের (South Dum Dum) মতো এলাকা।

কলকাতার একাধিক আবাসনকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রোজই বাড়ছে এই সংখ্যাটা। শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫০। চলছে সতর্কতামূলক প্রচার। নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশও। বাজারগুলিতেও ‘নো মাস্ক, নো সেলে’ জোর দেওয়া হয়েছে। চলছে জীবাণুমুক্তকরণও। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে রাজপুর-সোনারপুর বাজার। শনি-রবিবার ছাড় দিলেও ফের সোম এবং মঙ্গলবার বাজার বন্ধ রাখা হবে বলে খবর। সংক্রমণ ঠেকাতেই এই বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
টাকা খরচ করে রাজস্থান ছুটতে হবে না! বাংলায় বসেই দেখুন ঐতিহ্যবাহী শিশ মহল
আরও দেখুন

কামারহাটি পুরসভা ৩৫টি ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও একইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা বলা হয়, ১ থেকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ড অর্থাৎ কামারহাটি, দক্ষিণেশ্বর, আড়িয়াদহের মতো এলাকাগুলিতে সপ্তাহে তিনদিন ( সোম. বুধ এবং শুক্রবার) সমস্ত ধরনের বাজার, পাড়ার দোকান বন্ধ রাখা হবে। বাকি তিনদিন অর্থাৎ (মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিবার) ১৬-৩৫ নং ওয়ার্ড বাজার-দোকান বন্ধ থাকবে। ১০ জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হবে নয়া নিয়ম।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Covid In Kolkata: খোলা শুধু বহির্বিভাগ, বাকি সব পরিষেবা বন্ধ চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল