মঙ্গলবার সকালে রিপোর্ট মুখবন্ধ খামে পেশ করে কমান্ড হাসপাতাল। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ মত রিপোর্ট পেশ করেন কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্টাচার্য। শনিবার ময়নাতদন্ত হয়েছে। তিন সদস্যের টিম এই ময়নাতদন্ত করেছে।আর.জি.কর হাসপাতাল এবং কল্যাণী হাসপাতালের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার CJM-ও উপস্থিত ছিলেন। থানা থেকে বারবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং অন্যান্য নমুনা চাওয়া হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন-বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলায়, ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান এখন কোথায় ?
যুগ্ম-কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার ফোন করে তথ্য চাইছেন। ‘‘আদালতের নির্দেশে আমরা এই ময়নাতদন্ত করেছি, আমরা কোনও নথি দিইনি’’ এমনটাই আদালতে জানালেন কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী।ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ অন্যান্য নমুনা, নথি, তথ্য রাজ্যের তদন্তকারীদের দেওয়ার নির্দেশ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।ময়নাতদন্তের জন্য পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ আমাদের কাছে রয়েছে। আমাদের তথ্য অনুযায়ী অন্তত ৩৩টি ময়নাতদন্ত কমান্ড হাসপাতাল থেকে SSKM হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আদালতে জানায় রাজ্যের এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন-এই বর্ষায় মেনুতে ঢাকাই মাংস খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, চটপট করে ফেলুন অর্ডার !
অর্জুন চৌরাসিয়ার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেশ করেছে কমান্ড হাসপাতাল। ৩ সদস্যের টিম এই ময়নাতদন্ত করেছে। আদালতের নির্দেশ মতো আমরা পদক্ষেপ করব জানালেন কেন্দ্রের আইনজীবী। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্ত হয় শনিবার আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে। সিবিআই তদন্তের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেন আইনজীবী অমৃতা পান্ডে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তদন্তকারী সংস্থার কাছে তুলে দেওয়া হবে ৷ রিপোর্ট খতিয়ে দেখে জানায় প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। এখনও পর্যন্ত অর্জুন চৌরাসিয়ার অস্বাভাবিক মৃত্য নিয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে যা এখনও চলছে। পুলিশের হাতে নমুনা ও পিএম রিপোর্ট তুলে দেওয়া হোক, জানালেন এজি। তাঁর মতে, কমান্ড হাসপাতালের থেকে অনেক ভাল ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা রাজ্যের রয়েছে।
পূর্ব ভারতের শ্রেষ্ঠ হাসপাতাল এসএসকেএম। সেখানে বেশি ভাল ময়নাতদন্ত হতে পারে বলে জানান এজি। পিএম রিপোর্ট ও নমুনা রাজ্যের হাতে এজলাসের মধ্যে তুলে দেয় এদিন ডিভিশন বেঞ্চ। ময়নাতদন্তে যদি আত্মহত্যার ইঙ্গিত থাকে, তাহলে আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য দোষীদের খুঁজে বার করতে হবে। সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর আবেদন পরিবারের আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের। প্রধান বিচারপতি জানান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করবে রাজ্যের পুলিশ। ১৯ মে-র মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট আদালতে পেশ করবে পুলিশ।