সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয় পেয়ে বিধানসভায় এবার পা রাখতে চলেছে কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা ভোটে সিপিআইএমের মতোই কংগ্রেসের হাতও ছিল শূন্য। তেইশে এসে শূন্য থেকে এক হল কংগ্রেস। একুশের নির্বাচনে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জেতা মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। উপনির্বাচনে বড় জয় পেয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর। কংগ্রেস শিবির বলছে, "এই ফলাফল স্পষ্ট করে দিল যে, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অপরাজেয় নয়। তৃণমূলকে পরাজিত করা সম্ভব।"
advertisement
আরও পড়ুন: চিতার ভস্ম দিয়ে হোলি খেলা হয় এখানে! কোথায় আছে এমন শ্মশান, জানেন কি...
আর এতেই উৎফুল্ল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের পাশাপাশি বিরোধী শিবিরও। অধীর চৌধুরীর কথায়, "গতবার যখন শূন্য পেয়েছিলাম তখন বলেছিলাম, কংগ্রেস হারতে পারে, কিন্তু হারিয়ে যাবে না। আজ বলছি, কংগ্রেস তাড়াতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসকে রাজ্য থেকে তাড়িয়েই ছাড়বে।" অন্যদিকে, সাগরদিঘির জয়ের নায়ক বাইরন বিশ্বাস বলছেন, "এক থেকে একশো হবে। সামনেই পঞ্চায়েত। সামনের বছর লোকসভা ভোট। তার আগে সাগরদিঘিতে জয়ে রাজ্যের কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের অক্সিজেন জোগাবে।"
আরও পড়ুন: এত দিন ভুল জানতেন, কাগজ দিয়ে নয়! এই জিনিস দিয়ে তৈরি হয় টাকার নোট...
উনিশের লোকসভা ভোটে রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২টি আসনে জয়ী হয় কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর এবং মালদা দক্ষিণ। বহরমপুর থেকে জয়ী হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
সেই অধীরের জেলা মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতেই এবার জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী। এই জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে এ রাজ্যের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের কাছে নিঃসন্দেহে 'টনিক'। বলছে রাজনৈতিক মহল।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী
