তদন্তে নেমে CBI জানতে পেরেছে, প্রত্যেকটি কনসাইনমেন্ট দেওয়ার সময় কনসাইনমেন্ট হোল্ডারের কাছে একটি ১০ টাকার নোট দিয়ে দেওয়া হত। রিসিভার অর্থাৎ যিনি সেই কনসাইনমেন্ট নেবেন, তার কাছে সেই সিরিয়াল নম্বর জানিয়ে দেওয়া হত। পাচার হওয়া কয়লা সেই হিসেবেই রিসিভারকে ডেলিভার করা হত। ব্যাবসায়ীদের জেরা করে এই তথ্য জানতে পেরেছেন CBI গোয়েন্দারা। তদন্তকারী আধিকারিকরা এরকম ১০ টাকার নোটের হদিশ পেয়েছেন, যার সিরিয়াল নম্বর ধরে কয়লা পাচার হত। এখানেই শেষ নয়। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, একই কায়দায় হাওয়ালা মারফত টাকাও আদান প্রদান হত।
advertisement
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার কাণ্ডে প্রথমে তদন্তে নামে আয়কর দফতর। ফলে তারা তদন্ত করে যে তথ্যপ্রমাণ বা নথি পেয়েছে সে সব জানতে চেয়ে আয়কর দফতরকে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। সেই ফাইল হাতে আসার পর শুরু হয়েছে তৎপরতা। শনিবার CBI গোয়েন্দারা গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোল–সহ রাজ্যের ৩০টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। উল্লেখ্য, সোমবার চক্রের পান্ডা অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে তলব করেছে CBI। তদন্তে উঠে এসেছে, মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তরবঙ্গে কয়লা পাচার করত কয়লা পাচার কাণ্ডের মূল পাণ্ডা অনুপ মাঝি ওরফে লালা।
SUKANTA MUKHERJEE