জানা গিয়েছে, ওইদিন মঞ্চে থাকবেন রাজ্যের নয়া রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন থেকে সেই সম্মতিও দেওয়া হয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
এ প্রসঙ্গে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ফাদার ফেলিক্স রাজ বলেন "আমরা ওনাকে ডিলিট সম্মান দিতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। উনি তাতে সম্মতি দিয়েছেন। ৬ ফেব্রুয়ারি আমরাই এই সম্মান মুখ্যমন্ত্রীকে তুলে দেব।"
advertisement
প্রসঙ্গত এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডিলিট উপাধি দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর হাত থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ডিলিট নিয়েছিলেন তিনি। যদিও সেই সময় এই বিষয়টি ঘিরে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিও প্রশ্ন তুলেছিল।
প্রসঙ্গত, সেন্ট জেভিয়ার্সকে বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব রেখেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ পৃথকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় করার সিদ্ধান্তও নেয়। রাজারহাটের নিউটাউনে সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলে সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যায়।
তবে শুধু ডিলিট সম্মান তুলে দেওয়াই নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাবর্তনে বিশেষ বক্তব্য রাখবেন। এমনটাই সূচি তৈরি করছে সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ বলেই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন, চুরি যাওয়া মোবাইল এভাবে বিক্রি হয়? তদন্তে নামতেই পুলিশ যা দেখল
সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সমাবর্তন নিয়ে একের পর এক জলঘোলা হয়েছে। রাজ্যপাল-রাজ্য সরকার সম্পর্ক এবং করোনা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে পিছিয়ে এসেছিল।
আরও পড়ুন, 'অনেকে কালীঘাটে যান, উনি ওখানে করেছেন!' মমতাকে শুভেন্দুর প্রণাম নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ
তবে এবার রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ডিসেম্বর থেকেই ফের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রস্তূতি নিতে শুরু করেছে। আগামী ডিসেম্বর মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সমাবর্তন অনুষ্ঠান করতে চলেছে। শুধু তাই নয় রাজ্যের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের প্রস্তূতিও নিতে শুরু করেছে বলে খবর।