প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইছেন। চাইছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। আর তাই দুই শীর্ষ নেতৃত্বের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সাত এপ্রিল দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি সই হবে শেখ হাসিনার এবারের সফরে। দু-দেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে নয়াদিল্লি। উঠতে পারে তিস্তা জল বন্টন প্রকল্পের কথাও।
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ তারিখ সন্ধ্যায় দিল্লি পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসিনার সম্মানার্থে ৮ তারিখ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ মধ্যাহ্নভোজ এবং রাষ্ট্রপতির বিশেষ ডিনারেও যোগ দেবেন। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকেও থাকবেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর এই দিল্লি সফর ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা বাড়ছে। এই সফরেই কি কেন্দ্র - রাজ্যের সম্পর্কের উন্নতি হবে?
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর। তাঁর সফরের সময়েই মুখ্যমন্ত্রীকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানায় কেন্দ্র। নিজে আমন্ত্রণ জানান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও। এবার আমন্ত্রণ PMO থেকেও। কেন্দ্রের আমন্ত্রণ রাখতে ৭ এপ্রিল দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঁয়ত্রিশটি চুক্তি। সঙ্গে একাধিক মউ সই। ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এই চুক্তিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতামতও জানতে চাইছে কেন্দ্র। আরও স্পষ্ট করে বললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে আসছেন সাত এপ্রিল। তাঁর সফর চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী যাতে দিল্লি হাজির থাকতে পারেন সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন বিদেশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
নোট বাতিলের পর কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করে একের পর এক সভা করেছেন লখনউ, নয়াদিল্লি, পটনায়। কেন্দ্র তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলেও বারবার সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। তাই রাজনৈতিক ভাবেও মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পশ্চিমবঙ্গকেও পাখির চোখ করেছে বিজেপি। রাজ্যে তৃণমূল সরকারকে পাল্টা আক্রমণ করতে ছাড়েননি নরেন্দ্র মোদিও। তারই মধ্যে এই বৈঠকের আমন্ত্রণ। এই সফরই কি তবে কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত? বাড়ছে জল্পনা।
তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি নিয়েও এ রাজ্যের মানুষের হয়ে একাধিক দাবি তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৫, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরে সামিল হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও তিস্তা নিয়ে তাঁর অবস্থান জানিয়ে এসেছিলেন। এবারের দিল্লি সফরে ঘরোয়া ভাবেও উঠতে পারে জলবণ্টনের কথা।