এই পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হল, সেতুর বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা করা এবং কোনও সম্ভাব্য বিপদ এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। পূর্ত দফতর এই সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং এই বিষয়ে পূর্ত মন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে।২০১৬ সালে নির্মীয়মাণ পোস্তা সেতু ভেঙে পড়ে। তার ঠিক দু’বছর পর ২০১৮ সালে মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ে। এই দু’টি ঘটনার পর থেকেই তৎপর হয় পূর্ত দফতর। একাধিক সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। তার পরেই সিদ্ধান্ত নিয়ে টালা সেতু ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হয়।সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিবাচক হলেও প্রশাসনকে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে বলেই মনে করছেন কেএমডিএ-র কর্তারা। পাশাপাশি, শহরের রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য দখলদার সমস্যার স্থায়ী সমাধান অপরিহার্য।
advertisement
আরও পড়ুন : দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায় ভারী বর্ষণ, দুর্যোগ উত্তরেও ! রথের দিন অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভেঙে পড়েছিল মাঝেরহাট সেতু। তার পরই সেতু পরীক্ষা নিয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে পূর্ত দফতরের অধীনে যতগুলি সেতু রয়েছে সেই সব সেতু পরীক্ষা করা হবে। সূত্রের খবর, বর্তমানে গোটা রাজ্যে পূর্ত দফতরের অধীনে ২২০০-টিরও বেশি সেতু রয়েছে।সূত্রের খবর, এই কাজের অগ্রগতির জন্য তিনটি জোনের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পূর্ত দফতরের তরফে বিভিন্ন সেতুতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে হাইট বার বসানো থেকে শুরু করে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা অন্যান্য ব্যবস্থা করা হবে।
