সূত্রের খবর, স্ত্রীর কাছে যাওয়ার জন্য গত ১ জুলাই প্যারোলে তিহার জেল থেকে দিন দশেকের জন্য মুক্তি পেয়েছিল মহম্মদ সোহরাব৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও জেলে ফেরেনি সোহরাব৷ এর পরই তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল, উত্তর প্রদেশের পুলিশ এবং উত্তর প্রদেশের এসটিএফ৷ শেষ পর্যন্ত এ দিন কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার রিপন স্ট্রিট থেকে মহম্মদ সোহরাব নামে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ৷ পার্ক স্ট্রিট থানার সাহায্য নিয়েই এই অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ৷
advertisement
জানা গিয়েছে, কলকাতায় এসে অন্য একজনের পরিচয়পত্র নিয়ে একটি অ্যাপ বাইক চালাচ্ছিল মহম্মদ সোহরাব৷ রিপন স্ট্রিট এলাকায় একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল সে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, একা মহম্মদ সোহরাব নয়, তার আরও দুই ভাই এই মুহূর্তে তিহার জেলে বন্দি রয়েছে৷ আদতে উত্তর প্রদেশের লখনউয়ের বাসিন্দা এই মহম্মদ সোহরাব৷ ২০০৩ সালে তাদেরই এক ভাই খুন হয়৷ তার বদলা নিতে সোহরাব এবং তার বাকি দুই ভাই মিলে এক ঘণ্টার মধ্যে তিন তিনটি খুন করে৷ খুনের আগে পুলিশকে ফোন করে পারলে তাদের আটকানোর চ্যালেঞ্জও করে তারা৷
মহম্মদ সোহরাব নামে এই দুষ্কৃতীর নামে ছয় থেকে সাতটি খুনের অভিযোগ রয়েছে৷ এছাড়াও বেশ কয়েকটি খুনের চেষ্টা এবং উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে ডাকাতিরও অভিযোগ রয়েছে এই সোহরাবের বিরুদ্ধে৷ গ্রেফতারের পর এ দিনই পার্ক থানায় তাকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন দিল্লি পুলিশের অফিসাররা৷ আগামিকাল আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিম্যান্ডে ধৃত দুষ্কৃতীকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে৷
