জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় থেকে রাস্তার উপরে শুরু হয়েছে পাইপ লাইনের কাজ। এই কাজ করতে করতে স্কুলের যে পাইপ লাইন তা কোনওভাবে ফেটে যায়। তারপর থেকে স্কুলে বন্ধ হয়ে যায় জল। স্কুলে প্রায় ৮০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সঙ্গে ৪৫ জন শিক্ষক। এরমধ্যে শিক্ষিকার সংখ্যায় বেশি। জল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ করে রাখা হলেও শিক্ষিকাদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। স্কুল থেকে ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হঠাৎ বিয়ে বাতিল! বিদেশে হানিমুনের দুই টিকিট ফ্রি দিচ্ছেন গুরুগ্রামের যুবক
খবর সম্প্রচার হতেই তৎপর কলকাতা পুরসভা। তড়িঘড়ি জলেও ব্যবস্থা করল স্কুলে। তবে এখনও পুরোপুরি সমস্যা মেটেনি। একটি প্রাইমারি লাইন তৈরি করে দিয়েছে করপোরেশন। সেখানে থেকে আপাতত জল পাচ্ছে স্কুল। স্থায়ী লাইনের জন্য মাঠি খোড়া শুরু করেছেন পূরকর্মীর। একেবারে মাটির নিচ থেকে সেই লাইন তৈরি করে দিচ্ছে কেএমসি। তবে পুরো পরিস্থিতি ঠিক না হওয়ায় পর্যন্ত স্কুল খুলতে চান না শিক্ষিকারা। কারণ যে জল বেড়াচ্ছে সেটা পানীয় জল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না। আগের থেকে কিছুটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সব সমস্যা সমাধান না হওয়ায় আপাতত স্কুল খুলবে না।
এই কাজ চলাকালীন পরীক্ষা দিতে আসে ২ ছাত্র। নোটিস ঠিক করে না দেখায় অঙ্ক পরীক্ষা দিতে এসছিলেন তাঁরা। তাঁদেরও বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জানান, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়ে গেছে। একটা লাইক ইতিমধ্যে চালু করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে জল পারছেন তারা। স্থায়ী লাইনের জন্য কাজ শুরু হয়েছে।
