জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় থেকে রাস্তার উপরে শুরু হয়েছে পাইপ লাইনের কাজ। এই কাজ করতে করতে স্কুলের যে পাইপ লাইন তা কোনওভাবে ফেটে যায়। তারপর থেকে স্কুলে বন্ধ হয়ে যায় জল। স্কুলে প্রায় ৮০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে। সঙ্গে ৪৫ জন শিক্ষক। এরমধ্যে শিক্ষিকার সংখ্যায় বেশি। জল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ করে রাখা হলেও শিক্ষিকাদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। স্কুল থেকে ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ওয়াশরুম ব্যবহার করতে হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাওড়ার বেআইনি জ্বালানি তেলের গোডাউনে বিধ্বংসী আগুন, মৃত ১! ঘটনাস্থলে দমকলের ৪ ইঞ্জিন
কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বাইরে একটি কল লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরু পাইপের মাধ্যমে জল যাচ্ছে ভিতরে। তবে, খাবার জল আর ব্যবহারের জল একই জায়গা থেকে নিতে হচ্ছে। পাশাপাশি জলের গতি অত্যন্ত স্লো। চিন্তার ভাঁজ স্কুল কর্তৃপক্ষের কপালে। যেন তেন প্রকারের স্কুল খুলতে চাইছেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়ে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাধনা বসুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন জলেও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুধু ছোটদের না যারা বোর্ড এক্সাম দেবে পরীক্ষা বন্ধ তাঁদেরও। এই রকমই এক ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে নিউজ১৮ বাংলা। তিনি বলেন, ‘এই ভাবে পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পিছিয়ে গেছে তারা। সামনে বড় পরীক্ষা। সেই প্রস্তুতির পাশাপাশি টেস্ট পরীক্ষআর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ তাদের কপালে। চিন্তিত এই সমস্ত পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চাইছেন তারা। না হলে তাদের সন্তানরাও অনেকটা পিছিয়ে যাচ্ছে এমনটাই মনে করছেন অভিভাবকরা। কবে এই প্রবলেম সলভ হবে তা জানেন না কেউ। উত্তরের খোঁজে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।
