তিনি জানালেন,ধাক্কা খেতে খেতে এই জায়গায় পৌঁছেছেন। সব কিছু কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। মমতার কথায়, “মায়েরা যখন সংসার চালান তাঁরা ঠিক করে নেন, কত অর্থ আছে সেই অনুযায়ী কী ভাবে চালাবেন। বাজেট বড় কথা। আমাকেও তেমন হিসেব করে করতে হয়েছে। যতটুকু সম্ভব হয়েছে করেছি। যদি সামর্থ থাকলে আরও করতাম। শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, কাজটুকু করে যেতে চেয়েছি। আমি সাধারণ মানুষ। কথা দিয়ে কথা রাখতে চেয়েছি।”
advertisement
আরও পড়ুন: সারারাত হোটেলে ছিল কিশোরী মেয়ে, সকাল হতেই চিৎকার! ছুটে বেরিয়ে এসে পুলিশকে যা বলল সে…
Mamata Banerjee Exclusive Interview
রাজ্যের বরাদ্দ আরও বেশি করে দেখানোর কথা ছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে। তা কি পেরেছেন মমতা? বেশিটা কেন্দ্র সরকার নিয়ে নেয়, রাজ্যের হাতে আসে অর্ধেকেরও কম। আমরা জিএসটি থেকে আয় ৫০% করতে বলেছি। প্রায় ৩ ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। মানুষের হাতে পয়সা থাকা দরকার। তাহলে মানুষ নিজের মতো খরচা করতে পারে, এতে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়।”
কেন্দ্র সরকার তো চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিচ্ছে না, লক্ষ্মীর ভান্ডার এবং এত ভাতা মানুষকে দেবেন কী ভাবে মমতা? এ প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এ নিয়ে মায়েদের ভাবতে দিন। সংসার কী ভাবে চালাবে মায়েরা ঠিক ম্যানেজ করে নেন।” শাসক হিসেবে মমতা আরও জানান, দক্ষতা বা অদক্ষতার প্রশ্ন নয়, তাঁকে সব বিষয়ে জানতে হয়।
এডিটর তাঁকে প্রশ্ন করেন, “আপনি ২০০- র উপর সিট পেয়ে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছেন। সামনে আবার নির্বাচন। বিরোধী শিবিরেরর যা অবস্থা তাতে আপনিই হয়তো ক্ষমতায় আসবেন…” এতে তাঁকে থামিয়ে দিয়ে মমতা বলেন, “হয়তো টয়তো নয়, মানুষের প্রতি আমার ভরসা আস্থা বিশ্বাস আছে, এবং আমরাই আসব বিশ্বাস রাখি।”
Mamata Banerjee Exclusive Interview
এডিটর আরও একবার স্পষ্ট করতে চান মমতার আত্মবিশ্বাসের জায়গাটি, জিজ্ঞাসা করেন, “অগস্ট মাসে আরজি কর কাণ্ড হল, আপনার কি ভয় লাগেনি?” এত মানুষ রাস্তায় নেমে আন্দোলন হল… ভোটে তো কোনও প্রতিফলন হল না।”
মমতার সোজাসাপটা জবাব,”ওই যে, মানুষের প্রতি আমার আস্থা আছে। মানুষ কাজটা দেখে। সতীদাহ প্রথা প্রথম বাংলাতেই হয়েছিল। রাজা রামমোহন রায়কে প্রথমে সবাই গালাগাল দিয়েছিলেন। পরে সেটাই আইন পাশ হল। নবজাগরণের সময় সমাজের প্রতিটা অংশের মানুষ আন্দোলনে যোগ দেয়। সব কিছুর পীঠস্থান এই বাংলাই। আমরা ইতিহাস ভুলতে পারি না।”