TRENDING:

Sitalkuchi Firing: 'অঙ্গীকার' রাখছেন মমতা, শপথ নিয়েই শীতলকুচিতে সিট! ডাক 'সেই' অফিসারকে

Last Updated:

বলেছিলেন, 'যত বড়ই মাথা হোক, আমি শেষ দেখে ছাড়ব।' আর রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করলেন তিনি। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুই করেছিল সিআইডি। এবার সিট'ও গঠন করা হল।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শীতলকুচি: কথা দিয়েছিলেন। কথা রাখতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে (Sitalkuchi Firing) চার জনের মৃত্যুর ঘটনায় শুরু থেকেই নাছোড় মনোভাব ছিল মমতার। জানিয়ে দিয়েছিলেন, ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি নিয়ে তদন্ত করাবেন তিনি। বলেছিলেন, 'যত বড়ই মাথা হোক, আমি শেষ দেখে ছাড়ব।' আর রাজ্যে বিপুল আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসা মাত্রই শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠন করলেন তিনি। ওই ঘটনার তদন্ত শুরুই করেছিল সিআইডি। এবার সিট'ও গঠন করা হল।
প্রতিশ্রুতি রাখছেন মমতা
প্রতিশ্রুতি রাখছেন মমতা
advertisement

রাজ্যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরেই পুলিশ এবং প্রশাসনে বড়সড় রদবদল করেছিল নির্বাচন কমিশন (election commission)। আর বুধবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে সেই পুরনোদেরই দায়িত্বে ফিরিয়ে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ডিজি পদে ফিরে এসেছেন বীরেন্দ্র। এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে পুনরায় এসেছেন জাভেদ শামিম। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সাসপেন্ডও করা হয়েছে। শীতলকুচি কাণ্ডের জেরেই এই শাস্তি বলে অনুমান ওয়াকিবহল মহলের।

advertisement

সিআইডি সূত্রে খবর, ডিআইজি সিআইডি কল্যাণ মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সিট গঠন করে শীতলকুচি কাণ্ডের তদন্ত করা হচ্ছে। আর আজই শীতলকুচিকাণ্ডের তদন্তকারী অফিসারকে ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছে। তলব করা হয়েছে মাথাভাঙা থানার আইসিকে-ও। প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহারের পুলিশ সুপার পদে ছিলেন কান্নান। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীনই বিরোধীদের, বিশেষত বিজেপির অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে সরিয়ে দেবাশিস ধরকে দায়িত্বে এনেছিল নির্বাচন কমিশন। যদিও দেবাশিস ধর দায়িত্বে আসা মাত্রই তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল। তার সময়ই ঘটে শীতলকুচির ঘটনা। যা নিয়ে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন মমতা।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

বাংলার ভোটের চতুর্থ দফায়, গত ১০ এপ্রিল ভোট ছিল কোচবিহারের শীতলকুচিতে। সেখানকারই জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে সকাল-সকালই ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সমিউল মিঁয়া, মনিরুল মিঁয়া, হামিদুল মিঁয়া এবং নূর ইসলাম মিঁয়া নামে চার গ্রামবাসীর। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর রিপোর্টে বলেছিলেন, প্রায় ৩০০ জন গ্রামবাসী কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলেছিল। জওয়ানদের অস্ত্র ধরে টানাটানি করেছিল। শূন্যে গুলি চালিয়েও লাভ হয়নি। তারপরেই গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই রিপোর্টকেও ভুয়ো বলেছিল তৃণমূল। আর ক্ষমতায় আসা মাত্রই সেই শীতলকুচি নিয়েই জোর কদমে নেমে পড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Sitalkuchi Firing: 'অঙ্গীকার' রাখছেন মমতা, শপথ নিয়েই শীতলকুচিতে সিট! ডাক 'সেই' অফিসারকে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল