২০১৫ সালে ভারত সরকার লক্ষ্য করে, এই চিনা রসুন খাওয়ার ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতি রীতিমতো হচ্ছে। চিনা রসুনকে অতিরিক্ত সাদা করার জন্য ব্লিচ করা হয় ক্লোরিন দিয়ে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। এছাড়া, জানা গিয়েছে, চিনে রসুন চাষে সেখানকার কারখানার দূষিত জল ব্যবহার করা হয়। যার ফলে, রসুনের মধ্যে আর্সেনিক, ক্রোমিয়ামের মতো ভারী পদার্থ থাকার সম্ভাবনাও থাকে, যা ক্যানসারের কারণ।
advertisement
এই রসুনে প্রচুর পরিমাণে মিথাইল ব্রোমাইড থাকে, যা ছারপোকা মারার কাজে লাগে। এই মিথাইল ব্রোমাইড আমাদের ফুসফুস এবং কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বিপুল ক্ষতি করে। যা মৃত্যুর ঘটাতে পারে বলেও বলে মনে করেন গবেষকরা।
সাধারণ রসুনে থাকে অ্যালিসিন নামে একটি যৌগ। যা আমাদের শরীরে রক্তচাপ থেকে আরম্ভ করে প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরে ব্যাকটেরিয়া রোধ করে এবং রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। কিন্তু চিনা রসুনে সেই যৌগ অতি অল্প পরিমাণে পাওয়া যায়। যার ফলে,আমাদের শরীর ওটি থেকে বঞ্চিত হয়।
চাইনিজ রসুন ভারতের সরাসরি আমদানি নিষিদ্ধ৷ ফলে নেপাল এবং বাংলাদেশের মাধ্যমে চোরাগোপ্তা পথে আমাদের দেশের বিভিন্ন বাজারে চোরাই ভাবে ঢুকছে এই রসুন। ব্যবসায়ীরা এটাকে কেউ কেউ মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের রসুন বলে মানুষকে তা বিক্রিও করছেন।
ভারত সরকার যেখানে এই চিনা রসুন নিষিদ্ধ করেছে। সেখানে এখনও কী করে কলকাতা কিংবা মফস্সলের বাজারে বিক্রি হচ্ছে এই চিনা রসুন? প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের নজরদারিতে ঘাটতি রয়েছে?
আরও পড়ুন: ৬ মাসে ২১ কোটি আয় সব্জি বিক্রেতার! তারপর হঠাৎ ধরল পুলিশ, কী করছিল সে জানেন?
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য গবেষক প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘চাইনিজ রসুন মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার হলে স্বাস্থ্যের পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর। এই রসুনে বেশ কয়েকটি উপাদান রয়েছে, যেগুলি মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।’’ অন্যদিকে, টাস্ক ফোর্সের সদস্য, কমল দে জানান, ‘‘আমাদের কাছে এখনও চায়না রসুন বিক্রির খোঁজ আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি কেউ লুকিয়ে চুরিয়ে বিক্রি করে, তার বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলব পুলিশকে।’’ গড়িয়া বাজারের এক বিক্রেতা জানান, তিনি চায়না রসুন শিয়ালদহ থেকে কিনেছেন।