বাংলার দুর্গাপুজো ইউনেসকোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ায়, সেই স্বীকৃতিকে সামনে রেখেই দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে একটি স্থায়ী সাংস্কৃতিক ও গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয় রাজ্য সরকার। চলতি বছরের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, দিঘার জগন্নাথধামের মতোই দুর্গাপুজোকে ঘিরে একটি স্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি হবে, যেখানে মানুষ সারা বছর এসে বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই নিউটাউনে জায়গা চূড়ান্ত করা হয়।
advertisement
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘দুর্গা অঙ্গন’ শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় স্থাপন নয়। বরং বাংলার শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অভিনব গবেষণা ও প্রদর্শন কেন্দ্র হিসেবেই এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। এই উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই একটি ট্রাস্ট গঠন করেছেন। ভবিষ্যতে দুর্গা অঙ্গনের রক্ষণাবেক্ষণ ও সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব থাকবে ওই ট্রাস্টের হাতেই। প্রকল্পের অঙ্গ হিসেবে ‘দুর্গা অঙ্গন’-এ তৈরি করা হবে একটি আধুনিক সংগ্রহশালা। সেখানে বাংলার দুর্গাপুজোর ইতিহাস, শিল্পকলা, লোকসংস্কৃতি এবং সময়ের সঙ্গে পুজোর বিবর্তনের নানা দিক তুলে ধরা হবে। দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত উৎকর্ষের সেরা কিছু শিল্পকর্ম সংরক্ষণের পরিকল্পনাও রয়েছে।
প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, আগামী দিনে এই দুর্গা অঙ্গন রাজ্যের অন্যতম বৃহৎ পর্যটন ও সাংস্কৃতিক আকর্ষণ কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। মুখ্যমন্ত্রীর শিলান্যাস কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে নিউটাউন। মূল মঞ্চের সামনে ছাউনি করা হয়েছে, যেখানে প্রায় পাঁচ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পাশাপাশি সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও উপস্থিত থাকবেন। জানা গিয়েছে বাংলার সেরা, অভিনব দুর্গাপ্রতিমা স্থান পেতে পারে এই ‘দুর্গা অঙ্গনে’।





