Sleep Paralysis: দুঃস্বপ্ন দেখলে কখনও 'বোবা'য় ধরেছে আপনাকে? ছটফট করলেও কেন ঘুমের মধ্যে চিৎকার করা যায় না? জানুন বৈজ্ঞানিক কারণ

Last Updated:
Sleep Paralysis: অনেক সময় যখন আমরা ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখি, তখন জোরে চিৎকার করার চেষ্টা করি। কিন্তু যতই চেষ্টা করি না কেন, চিৎকার বের হয় না। ঘুম থেকে পুরোপুরি জেগে ওঠার পরই আমাদের গলা খুলে শব্দ হয়। আপনি কি জানেন কেন এটি ঘটে?
1/7
*গভীর ঘুমের মধ্যে যখন আমরা ভয়াবহ স্বপ্ন দেখি, তখন আমরা জোরে চিৎকার করার চেষ্টা করি। কিন্তু যতই চেষ্টা করি না কেন, আমাদের গলা দিয়ে কোনও শব্দ বের হয় না, অন্তত আমাদের শরীর নড়াচড়া করে না। এটা একটা দুঃস্বপ্নের মতো মনে হয়। এই অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়। সাধারণ কথায় অনেকেই একে 'বোবায় ধরা' বলে। তবে, কেন এমন হয়? নেপথ্যের বৈজ্ঞানিক কারণ জেনে আপনি অবাক হবেন...
*গভীর ঘুমের মধ্যে যখন আমরা ভয়াবহ স্বপ্ন দেখি, তখন আমরা জোরে চিৎকার করার চেষ্টা করি। কিন্তু যতই চেষ্টা করি না কেন, আমাদের গলা দিয়ে কোনও শব্দ বের হয় না, অন্তত আমাদের শরীর নড়াচড়া করে না। এটা একটা দুঃস্বপ্নের মতো মনে হয়। এই অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়। সাধারণ কথায় অনেকেই একে 'বোবায় ধরা' বলে। তবে, কেন এমন হয়? নেপথ্যের বৈজ্ঞানিক কারণ জেনে আপনি অবাক হবেন...
advertisement
2/7
*আসলে, ঘুমের সময় আমাদের গলায় শব্দ না পাওয়ার কারণ হল মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং আমাদের শরীরের 'প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা'-এর মধ্যে সমন্বয়। এখানে এ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য দেওয়া হল।
*আসলে, ঘুমের সময় আমাদের গলায় শব্দ না পাওয়ার কারণ হল মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং আমাদের শরীরের 'প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা'-এর মধ্যে সমন্বয়। এখানে এ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য দেওয়া হল।
advertisement
3/7
*গভীর ঘুমের মধ্যে আমরা যখন স্বপ্ন দেখি, বিজ্ঞানীরা সেই পর্যায়কে 'REM (র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট)' ঘুম বলে থাকেন। এই সময় আমাদের মস্তিষ্ক খুবই সক্রিয় থাকে (প্রায় আমরা যখন জেগে থাকি)। তবে, মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলেও, আমাদের শরীর বিশ্রামের অবস্থায় থাকে। বিশেষ করে, পেশীগুলি তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং অস্থায়ী পক্ষাঘাতের অবস্থায় চলে যায়।
*গভীর ঘুমের মধ্যে আমরা যখন স্বপ্ন দেখি, বিজ্ঞানীরা সেই পর্যায়কে 'REM (র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট)' ঘুম বলে থাকেন। এই সময় আমাদের মস্তিষ্ক খুবই সক্রিয় থাকে (প্রায় আমরা যখন জেগে থাকি)। তবে, মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলেও, আমাদের শরীর বিশ্রামের অবস্থায় থাকে। বিশেষ করে, পেশীগুলি তাদের শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং অস্থায়ী পক্ষাঘাতের অবস্থায় চলে যায়।
advertisement
4/7
*আমরা যখন চিৎকার করতে বা কথা বলতে চাই, তখন গলা, মুখ এবং জিহ্বার সঙ্গে সম্পর্কিত পেশী নড়াচড়া করতে হয়। কিন্তু REM ঘুমের সময়, এই পেশীগুলি সম্পূর্ণরূপে শিথিল থাকে। ফলস্বরূপ, আপনি স্বপ্নে যতই চিৎকার করার চেষ্টা করুন না কেন, আপনার পেশী শারীরিকভাবে সাড়া দেয় না। সেই কারণেই কোনও শব্দ বের হয় না।
*আমরা যখন চিৎকার করতে বা কথা বলতে চাই, তখন গলা, মুখ এবং জিহ্বার সঙ্গে সম্পর্কিত পেশী নড়াচড়া করতে হয়। কিন্তু REM ঘুমের সময়, এই পেশীগুলি সম্পূর্ণরূপে শিথিল থাকে। ফলস্বরূপ, আপনি স্বপ্নে যতই চিৎকার করার চেষ্টা করুন না কেন, আপনার পেশী শারীরিকভাবে সাড়া দেয় না। সেই কারণেই কোনও শব্দ বের হয় না।
advertisement
5/7
*এই শারীরিক প্রক্রিয়ার পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এটিকে কোনও রোগ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়, বরং শরীরের একটি 'নিরাপত্তা ব্যবস্থা' হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। যদি ঘুমের সময় আমাদের পেশীগুলি কাজ করে, তবে আমরা ভাবব যে আমরা আমাদের স্বপ্নে যা দেখছি তা বাস্তব এবং আমরা আমাদের ঘুমের মধ্যে জেগে উঠব এবং অন্যদের দৌড়বো বা আক্রমণ করব। এটি আমাদের নিজেদের বা আমাদের আশেপাশের লোকদের আঘাতের ঝুঁকিতে ফেলে। এই ঝুঁকি রোধ করার জন্য, মস্তিষ্ক ঘুমের সময় আমাদের শরীরকে নড়াচড়া থেকে আটকে রাখে।
*এই শারীরিক প্রক্রিয়ার পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এটিকে কোনও রোগ হিসাবে বিবেচনা করা উচিত নয়, বরং শরীরের একটি 'নিরাপত্তা ব্যবস্থা' হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। যদি ঘুমের সময় আমাদের পেশীগুলি কাজ করে, তবে আমরা ভাবব যে আমরা আমাদের স্বপ্নে যা দেখছি তা বাস্তব এবং আমরা আমাদের ঘুমের মধ্যে জেগে উঠব এবং অন্যদের দৌড়বো বা আক্রমণ করব। এটি আমাদের নিজেদের বা আমাদের আশেপাশের লোকদের আঘাতের ঝুঁকিতে ফেলে। এই ঝুঁকি রোধ করার জন্য, মস্তিষ্ক ঘুমের সময় আমাদের শরীরকে নড়াচড়া থেকে আটকে রাখে।
advertisement
6/7
*কখনও কখনও, হঠাৎ স্বপ্ন থেকে জেগে ওঠার পরেও, শরীর কয়েক সেকেন্ডের জন্য নড়াচড়া করে না। একে 'স্লিপ প্যারালাইসিস' বলা হয়। এটি ঘটে কারণ মস্তিষ্ক জেগে ওঠে, কিন্তু পেশীগুলি এখনও REM ঘুমের পর্যায়ে থাকে। এই সময়ে, আপনার হৃদস্পন্দন দ্রুত অনুভব করা, বাতাস নেই বলে মনে হওয়া বা কেউ আপনাকে স্পর্শ করছে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক। তবে এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নিজে থেকেই কমে যাবে।
*কখনও কখনও, হঠাৎ স্বপ্ন থেকে জেগে ওঠার পরেও, শরীর কয়েক সেকেন্ডের জন্য নড়াচড়া করে না। একে 'স্লিপ প্যারালাইসিস' বলা হয়। এটি ঘটে কারণ মস্তিষ্ক জেগে ওঠে, কিন্তু পেশীগুলি এখনও REM ঘুমের পর্যায়ে থাকে। এই সময়ে, আপনার হৃদস্পন্দন দ্রুত অনুভব করা, বাতাস নেই বলে মনে হওয়া বা কেউ আপনাকে স্পর্শ করছে এমন অনুভূতি হওয়া স্বাভাবিক। তবে এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নিজে থেকেই কমে যাবে।
advertisement
7/7
*দুঃস্বপ্ন বা ঘুমের পক্ষাঘাতের সমস্যা কমাতে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। ঘুমাতে যাওয়ার আগে শান্ত থাকুন। ধ্যান বা বই পড়া সাহায্য করতে পারে। গবেষণা দেখা গিয়েছে চিৎ হয়ে শোয়ার পরিবর্তে কাত হয়ে ঘুমালে এই সমস্যাগুলি কমানো যেতে পারে। সন্ধ্যায় চা এবং কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
*দুঃস্বপ্ন বা ঘুমের পক্ষাঘাতের সমস্যা কমাতে জীবনযাত্রার কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। ঘুমাতে যাওয়ার আগে শান্ত থাকুন। ধ্যান বা বই পড়া সাহায্য করতে পারে। গবেষণা দেখা গিয়েছে চিৎ হয়ে শোয়ার পরিবর্তে কাত হয়ে ঘুমালে এই সমস্যাগুলি কমানো যেতে পারে। সন্ধ্যায় চা এবং কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলুন।
advertisement
advertisement
advertisement