ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'প্রতিদিন ট্যুইটারে এমন অসাংবিধানিক, অনৈতিক কথা বলতেন মনে হত আমরা চাকর বাকর, বন্ডেড লেবার৷ পরামর্শ নয়, উনি যেন আমাদের নির্দেশ দিতেন৷ অথচ আমরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকার৷ আর উনি মনোনীত হয়েওসবার মাথার উপরে সুপার পাহারাদার হয়ে গেছেন৷'
আরও পড়ুন: অষ্টম শ্রেণি থেকে ফের খুলছে স্কুল, নবান্নে বড় ঘোষণা মমতার
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, এই পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, প্রত্যেক দিন রাজ্যপাল সরকারি অফিসারদের ডেকে পাঠিয়ে নানা রকম ভয় দেখাচ্ছেন৷ অথচ সেই এক্তিয়ার রাজ্যপালের নেই বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: করোনা বিধিনিষেধে একাধিক বড় বদল, নবান্ন থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করব, চার চার বার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও কেন এই রাজ্যপালকে সরানো হল না?'
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন আরও অভিযোগ করেছেন, রাজ্যপাল রাজ্য মানবাধিকার কমিশনার নিয়োগ, হাওড়া- বালি বিল সহ একাধিক বিল আটকে রেখেছেন৷ রাজ্যপাল অভিযোগ করেছিলেন, বিল সম্পর্কে রাজ্য সকারের তরফে প্রয়োজনীয় তথ্য না পাওয়ার কারণেই সই করেননি তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য এ দিন পাল্টা দাবি করেছেন, তিনি নিজে রাজভবনে গিয়ে বিভিন্ন বিল সম্পর্কে রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলে এসেছিলেন৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিধানসভা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও এক্তিয়ার অধ্যক্ষেরই রয়েছে৷