আজ বেলা বারোটা বাজার আগেই হাজির হন অনুব্রত। ২০২১ সালের ২রা মে ভোট-পরবর্তী হিংসায় ইলামবাজারে গৌরব সরকারকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় বীরভূম জেলা পুলিশ মামলা করেছিল। তাতে বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিল। পরে সিবিআই- এর হাতে মামলা গেলে ওই খুনের মামলায় ২০-২২ জন গ্রেফতার হয়।
আরও পড়ুন- ১৫ কোটি ৫৭ লক্ষ টাকার ব্যবসা! উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের আয় ভেঙে দিল সব রেকর্ড
advertisement
তাঁরা নাকি সিবিআই-এর জেরাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম করেছিল। তার পর থেকে সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে কয়েকবার নোটিশ দিলেও তিনি এই মামলায় সিবিআই এর দপ্তরে হাজিরা দেননি। যখন আদালত থেকে আর রক্ষাকবচ পেলেন না, তখন তিনি বাধ্য হলেন সিবিআই অফিসে হাজিরা দিতে।
বেলা বারোটা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সঙ্গে আসা দুই আইনজীবীকে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বসতে দেয়নি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ঘরের বাইরে বসিয়ে রাখা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলের মোবাইল পরীক্ষা করে দেখা শুরু করে সিবিআই। তাঁরা মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্ট থেকে ফোন বুক, ম্যাসেজ সমস্ত কিছু খুঁজে দেখা শুরু করেন। সঙ্গে ছিলেন একজন মোবাইল সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞ।
কার কার ফোন নম্বর রয়েছে? যদি কিছু মুছে ফেলেন! সেটা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া যদি এর মধ্যে মোবাইল ফোন পরিবর্তন করে থাকেন! তা হলে তাঁর IMEI নম্বর মেলানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
সিবিআই আগে থেকে সিডিআর সংগ্রহ করেছিল। তার সঙ্গে এই ফোনের মিল আছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে সিবিআই। আজ সিবিআই অফিসে ঢোকার মুখে অনুব্রত মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তবে সিবিআই এর নিখুঁত জেরার মুখে পড়ে অনুব্রত কিছুটা হলেও ভেঙে পড়েছেন।
আরও পড়ুন- ছিল কড়া নির্দেশ, ফের সিবিআই ডেরায় অনুব্রত মণ্ডল! ঢোকার আগেই যা বললেন...
সিবিআই দপ্তরে সেই প্রতাপ এখন তাঁর নেই বলে দাবী সূত্রের। জেরার বেশ কয়েকঘন্টা কেটে গেলেও গোয়েন্দাদের প্রশ্নের বেশ কিছু উত্তর তিনি 'জানি না' বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর।