আদালতের নির্দেশে ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। শনিবার পর্যন্ত তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে থাকবেন। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশের পরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নিতে জেলে গিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকেরা।
জামিনের সুযোগ হারিয়েছিলেন আগেই। এবার গ্রেফতার। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সংশোধনাগার থেকেই তাকে শ্যোন অ্যারেস্ট সিবিআই-এর। আজ, মঙ্গলবার আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন কালীঘাটের কাকু। গ্রেফতারের পর জামিনের আবেদন করেছেন সুজয়ের আইনজীবী। অন্যদিকে, নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল সিবিআই। মামলায় শুনানি চলছে।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘১৭ বছর সবে আমার, ও যা করেছিল…’ যন্ত্রণায় মুষড়ে পড়ে কী বলেন সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা
এর আগে আদালত বার বার সুজয়কৃষ্ণকে সশরীরে হাজির করানোর কথা বলেছে। যদিও অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাজির করানো যায়নি। জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি অসুস্থ। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হতে পারে। মঙ্গলবার বিচার ভবনে বিশেষ সিবিআই আদালতে সুজয়কৃষ্ণের মামলার শুনানি ছিল। তাঁকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির করানো হয়েছিল শুনানিতে। তাঁর আইনজীবী জামিনের জন্য আবেদন করেন।
আরও পড়ুন- ৫টাকার কয়েন উঠে যাওয়ার পিছনেও বাংলাদেশ! কেন এই সিদ্ধান্ত নিল RBI? জানুন আসল কারণ
যদিও সিবিআই সেই আবেদনের বিরোধিতা করে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চায়। সেই আবেদন মেনে আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুজয়কৃষ্ণকে সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে বিচার ভবন। বিচারকের নির্দেশ, সুজয়কৃষ্ণকে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরে সেখানে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে হবে। প্রতি দিন অন্তত এক ঘণ্টার জন্য আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন তিনি। তবে সিবিআই যখন জেরা করবে, তখন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না তিনি। এর আগে আদালত জানিয়েছিল, সশরীতে হাজির করানো না-গেলে সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে নেওয়া যাবে না।