৫টাকার কয়েন উঠে যাওয়ার পিছনেও বাংলাদেশ! কেন এই সিদ্ধান্ত নিল RBI? জানুন আসল কারণ
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
5 Rupee Coin India Bangladesh Relationship: প্রচুর পরিমাণে ধাতু থাকায় চোরাকারবারীরা এসব মুদ্রা বাংলাদেশে রফতানি করত। এতে আমাদের দেশে মুদ্রার প্রচলন ব্যাপকভাবে কমে যায়।
advertisement
advertisement
একটি নির্দিষ্ট বছরে কতগুলি মুদ্রা তৈরি করা হবে সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরে, সরকার ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দেয়। তারপর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কয়েনগুলিকে মিন্ট করে, বা ট্যাঁকশালে ছাপায়। এমনকি যদি মুদ্রা বা নোট বন্ধ করা হয় বা জারি করার প্রক্রিয়ায়, RBI-এর কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। তবেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া কয়েন বা নোট নিষিদ্ধ করতে পারে।
advertisement
advertisement
আপনারা সবাই জানেন, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন ধরনের ৫ টাকার কয়েন পাওয়া যাচ্ছে। তবে একটি পিতল, অন্যটি মোটা ধাতু। বর্তমানে, অনেক ৫ টাকার পিতলের মুদ্রা পাওয়া যায়। মোটা কয়েনের সংখ্যা কমে গেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কেউই মোটা ধাতব ৫ টাকার কয়েন তৈরি করছে না। বাজারে শুধু পিতলের মুদ্রাই ব্যাপকভাবে দেখা যায়।
advertisement
৫ টাকার কয়েন কেন বন্ধ হয়ে গেল? সেই মোটা ৫ টাকা বন্ধ করার পেছনে একটি বড় কারণ রয়েছে। মূলত, এসব মুদ্রা তৈরিতে অনেকটা ধাতু ব্যবহার করা হয়। মোটা ৫ টাকার কয়েন থেকে ৪-৫টি ব্লেড তৈরি করা যায়। এর পরে, কিছু লোক ইতিমধ্যে 5 টাকার কয়েন থেকে ব্লেড তৈরি করতে শুরু করেছে, যার ফলে সরকার এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মোটা 5 টাকার কয়েন বন্ধ করে দিয়েছে।
advertisement
বড় কারণ হল, বাংলাদেশে অবৈধভাবে ৫ টাকার কয়েন পাচার হচ্ছে । এই কয়েন বন্ধ হওয়ার পিছনে রয়েছে বাংলাদেশে অবৈধ চোরাচালান। প্রচুর পরিমাণে ধাতু থাকায় চোরাকারবারীরা এসব মুদ্রা বাংলাদেশে রফতানি করত। এতে আমাদের দেশে মুদ্রার প্রচলন ব্যাপকভাবে কমে যায়। বাংলাদেশে, এই মুদ্রাগুলি গলিয়ে রেজার ব্লেডের মতো আকার দেওয়া হয়েছিল। এই একটি কয়েন থেকে 6টি ব্লেড তৈরি করা যেতে পারে, যার প্রতিটি ২ টাকায় কেনা যেত।
advertisement
সরকার যখন এই বিষয়টি জানতে পারে, তখন মুদ্রার চেহারা এবং ধাতুর পরিমাণ পরিবর্তন করে। RBI আগের সংস্করণের চেয়ে ৫ টাকার কয়েনকে পাতলা করেছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাজারে পাওয়া কিছু সস্তা উপাদানের সাথে ধাতু মিশিয়েছে। এইভাবে এই ৫ টাকার কয়েন পাচার করা হলেও, চোরাকারবারীরা রেজার ব্লেড তৈরি করতে পারে না।