কী অভিযোগ এই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে? সিবিআই-এর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, কয়লা পাচারের সেফ করিডোর তৈরির কাজ করতেন তিনি৷ অবশ্যই তা অর্থের বিনিময়ে৷ অর্থাৎ আসানসোল-দুর্গাপুর থেকে বীরভূমের কয়লাখনি অঞ্চল থেকে কয়লা পাচারের সময় যাতে পাচারকারী গাড়িটি নির্দিষ্ট গন্তব্যে নির্বিঘ্নে পৌঁছে যেতে পারে, যাতে পথে পুলিশ-প্রশাসনের তরফ থেকে কোনওরকম বাধা-বিপত্তি সৃষ্টি না করা হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেন সিউড়ির এই পুলিশ আধিকারিক৷ সেই কারণেই কয়লা পাচারকাণ্ডে যোগ পেয়ে তাঁরে নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই৷
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা না ভালোবাসা...? কোনটি জীবনে সবচেয়ে বেশি চায় মানুষ? গবেষণায় 'ফাঁস' চমকে দেওয়া উত্তর!
সিবিআই সূত্রে আরও খবর, বীরভূমের বিস্তীর্ণ এলাকার কয়লা পাচারকারীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি৷ মোটা টাকার বিনিয়মে বেআইনি কয়লা পাচারকারীদের হাতে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতেন তিনি৷ সিবিআই সূত্রে খবর, তিনি যখন বীরভূমের বিভিন্ন থানায় তিনি কর্মরত ছিলেন, তখন এই কয়লা পাচারের কাজে তিনি জড়িয়ে পড়েন তিনি৷ সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের প্রধান মাথা অনুপ মাঝি, কয়লা পাচার সুষ্ঠভাবে করার জন্য বিভিন্ন মহলের মানুষকে প্রোটেকশন মানি বা নিরাপত্তাজনিত অর্থ পাঠাত৷ যেমন অনুব্রতর বিরুদ্ধেও প্রোটেকশন মানি নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে৷
এ বার সিবিআই সূত্রে দাবি, এই পুলিশ আধিকারিকও প্রোটেকশন মানিতে লাভবান হয়েছে৷ কয়লা পাচারের টাকায় লাভবান হয়েছেন শেখ মহম্মদ আলি৷ সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে জানানর চেষ্টা করে, অনুপ মাঝির সঙ্গে সরাসরি এই অধিকারিকের কেমন যোগাযোগ ছিল৷ কয়লাপাচার কাণ্ডের বাকি অভিযুত্তদের সঙ্গে এর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না৷ কত টাকা তিনি এই বাবদ পেয়েছিলেন, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
Amit Sarkar