প্রথম ফোনটির মতো দ্বিতীয় ফোনটিও হাতে পেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাকারী সংস্থার আধিকারিকরা৷ তাঁরা মনে করছেন, এই মোবাইল ফোনেই লুকিয়ে থাকতে পারে দুর্নীতির রহস্যভেদের বিরাট কোনও সূত্র। সেই কারণেই বিধায়ক তিনি তাঁর মোবাইল ফোন দুটিকে পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন৷ সূত্রের খবর, গ্রামবাসীরাও এদিন পুকুর থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টায় হাত লাগান।
advertisement
এদিন বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহা ইস্যুতে সকাল থেকেই বিরোধীরা লাগাতার রাজনৈতিক আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন তার জবাব দিতে গিয়ে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "যদি কেউ অন্যায় করে থাকে, তাহলে তদন্তকারী সংস্থা অবশ্যই আইনত ব্যবস্থা নেবে। এর সাথে দলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ দল সেই নেতা বা কর্মীর পাশেও দাঁড়িয়ে থাকবে না। কিন্তু সকাল থেকেই সব সূত্রের খবর বলে নানা জিনিস চলে আসছে। এর ফলে একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে মানুষের মধ্যে আমরা এই সূত্রের বিরুদ্ধে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই সে শাস্তি পাবে।"
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন জীবনকৃষ্ণ। কান্দিতে রয়েছে একটি রাইস মিল। রয়েছে ৪ বিঘে জমি। একাধিক জমি রয়েছে, যেগুলির টাকা দেওয়া হলেও রেজিস্ট্রি হয়নি। কান্দি হাই স্কুলের পিছনে রয়েছে বিধায়কের একটি পুকুর ও গ্যাসের গোডাউন।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মুর্শিদাবাদের কৌশিক ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর বাড়ির আশেপাশে কম করে ৩৫ বিঘা জমি রয়েছে বিধায়কের। এছাড়া, বীরভূমেও একাধিক জায়গায় তার জমি ও সম্পত্তি রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।