বাবাকে দীর্ঘদিন ধরে দেখে আসছি রাজনীতির আঙিনায়। ইচ্ছে হল বাবাকে কিছুটা সুরাহা দিতে। তাই ভোট যুদ্ধে নেমে পড়া। বললেন তৃষা। আর বাবা অমল চক্রবর্তীর কথায়, 'ও পাশে থাকাতে অনেকটাই সুবিধা হচ্ছে। আমাদের অনেক নেতৃত্বের ছেলে মেয়েরাই এবারে পুর যুদ্ধের ময়দানে। তাই মেয়েও বলল আমিও সমিল হবো'।
আরও পড়ুন: করোনা টিকার বহু ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে দেশে, মেনে নিল মোদি সরকার!
advertisement
চিত্র দুই: পুরযুদ্ধে স্বামীর পাশে স্ত্রী ।স্বামী চারবারের কাউন্সিলর। এবারও হাত চিহ্নে ভোট ময়দানে। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের সঙ্গে পুর-যুদ্ধে পুর-ভাগে তাঁর স্ত্রী বিমলা পাঠক। বললেন, স্বামীর জয় নিয়ে কোনও সংশয় নেই। আমার চ্যালেঞ্জ ওর লিড বাড়ানো। স্বামীকে ফিট রাখতেও বিশেষ নজর স্ত্রীর। কলকাতা পুরসভার দীর্ঘদিনের কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক বলছেন, 'ও আমার রাজনৈতিক জীবনের নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। এবারের পুর নির্বাচনেও পাশে পেয়েছি'।
চিত্র তিন। মেয়ের হয়ে ময়দানে বাবা। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ড। যাদবপুরের বাসিন্দা সিপিআইএম প্রার্থী অন্বেষা ভৌমিকের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। দীর্ঘদিন বাম আন্দোলনের সাথে যুক্ত। করোনার সময় মেয়ে রেড ভলান্টিয়ার হিসেবে মানুষের পাশে থেকেছ। এবারই প্রথম ভোটে পুর প্রার্থী। পাশে বাবা। মেয়ের ফ্রেন্ড, ফিলোজফার অ্যান্ড গাইড। বাবাকে পাশে পেয়ে খুশি অন্বেষা। বাবা প্রিয়ব্রত ভৌমিকও 'কলকাতার স্টিয়ারিং বাম দিকে ঘুুুুরিয়়ে দিন' এই আবেদন নিয়ে ভোটের ময়দানে সঙ্গী মেয়ের।
আরও পড়ুন: মোদির জন্মদিনে ভ্যাকসিন-রেকর্ডে সামিল মৃতরাও! অভিষেকের প্রশ্নে প্রকাশ্যে বড় 'ভুল'
চিত্র চার। রাজনীতিতে ‘মেড ফর ইচ আদার’। নিজে সংঘের সদস্য। স্ত্রী প্রথমবার ভোটের ময়দানে। রাসবিহারী অঞ্চলের ৮৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী তমসা চট্টোপাধ্যায়ের ইলেকশন এজেন্ট স্বামী শুভজিৎ। স্ত্রী ব্যস্ত প্রচারে। স্বামী ব্যস্ত হিসেব-নিকেশে। জমে উঠেছে লড়াই। গরম ময়দান। ফুটছে ওয়াররুম। লড়াইয়ের ময়দানে 'প্রিয়' প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত। আর ওয়াররুমে 'আপনজন'কে ভোটে জেতাতে ব্যস্ত আপনজনেরা।