বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবাই অত্যধিক পোড়ালে এক্রেলেমাইড নামে একটি যৌগ তৈরি হয়। যাকে ক্যান্সারের কারণ বলছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। কেউ কেউ বলেন খাবার থেকে শরীরের কিংবা স্বাস্থ্যের ক্ষতির বিষয়টি যদি সবাই দেখেন, তাহলে কোন খাবার খাওয়া যাবে না। বিষয়টি যদিও সত্যি, বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে খাবার খেলে আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি ও পুষ্টি সমস্ত কিছুই নির্ভর করে।সেখানে কেন খাবারের গুণমান নিয়ে অবহেলা করা?
advertisement
আরও পড়ুন - কেন্দ্রকে আগেই জানিয়েছিল ধামি সরকার, কান দেয়নি, যোশীমঠ নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য !
এই বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গবেষক ডঃ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘'ভুট্টাতে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রড থাকে। আগুনে যখন পোড়ানো হয় তখন অত্যধিক তাপে ওই দুটি মিলে একটি যৌগ তৈরি হয়। যার নাম এক্রেলেমাইড। এক্রেলেমাইড হল কারসিনোজেন টু। যা ক্যান্সারের কারণ হিসাবে গবেষণায় পাওয়া গেছে। শুধু ভুট্টা নয় এইরকম কোন জিনিস পুড়িয়ে কিংবা ভেজে যদি কালো কিংবা অতি বাদামি রঙের করে ফেলা হয়। তাতেও একই ধরনের বিক্রিয়া ঘটে।'’
আরও পড়ুন - রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে হাউহাউ করছে ছোট ছেলেটি, রোহিত নিজে গেলেন এগিয়ে, তারপরেই ম্যাজিক, ভাইরাল ভিডিও
এছাড়াও তিনি জানান, ‘‘উনুনের উপর যখন ভুট্টা দেওয়া হয়। তখন নিঃসন্দেহে একটি তারের জাল কিম্বা লোহার কোন জিনিসের উপর দিয়ে পোড়ানো উচিত। তাতে অনেকটা কম পুড়বে। কয়লার স্পর্শে পোড়ানোর ফলে, কয়লার সঙ্গে থাকা ভারী মেটাল ভুট্টাতে চলে আসতে পারে। কারণ কয়লা একটি খনিজ পদার্থ। সমস্ত দিক নির্বাচন করে যদি একটু ভেবে খাওয়া যায়। তাহলে মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেকটাই উপকারী। এছাড়াও পরবর্তী প্রজন্মের পক্ষে অনেকটাই স্বাস্থ্যকর।’’
SHANKU SANTRA
