রাজ্যের দুই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম দশে স্থান করে নেওয়ায় অত্যন্ত খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় NIRF Ranking-এ জায়গা করে নেওয়ায় তিনি খুবই গর্বিত। একইসঙ্গে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যা মন্দির শীর্ষ কলেজের তালিকায় উঠে আসায় খুশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
‘ইন্ডিয়া রাঙ্কিং ২০২১’-এর (ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক বা এনআইআরএফ) (NIRF Ranking) প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে বাংলার দুটি বিশ্ববিদ্যালয়। গতবারের তালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল সপ্তম স্থানে। এবার তিন ধাপ এগিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাপিয়ে গিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাজ্যের আইআইটি খড়গপুর ষষ্ঠ স্থান পেয়েছে। তবে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে থেকে এই প্রথম রাজ্যের কোন বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ স্থানে উঠে এল।
আরও পড়ুন : সিকিম পাবলিক সার্ভিস কমিশন গ্র্যাজুয়েটদের এই পদে নিয়োগ করছে, জানুন খুঁটিনাটি
গতবছরের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম স্থান পেয়েছিল। কিন্তু এবছর কেন্দ্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটাই নিচে নেমে অষ্টম স্থান পেয়েছে। পাশাপাশি দেশের সেরা কলেজ হিসেবে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ চতুর্থ স্থান ও উল্লেখযোগ্য ভাবে বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির কলেজ পঞ্চম স্থান পেয়েছে। প্রসঙ্গত দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পেয়েছে ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ও সেরা কলেজের তকমা পেয়েছে দিল্লির মিরান্ডা কলেজ।
উল্লেখ্য, গতবছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সপ্তম স্থানে ছিল। এবছর প্রথম ৫ এর মধ্যে উঠে আসায় খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে বলতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন "কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা দেশের মধ্যে চতুর্থ এবং রাজ্যের মধ্যে প্রথম স্থান পাওয়ায় আমরা অনুপ্রাণিত বোধ করছি। গত এক বছর আমরা বাইরে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করেছি।করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও গবেষণা হয়েছে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই র্যাঙ্কিং আমাদের অনুপ্রাণিত করবে আগামী দিনের পথ চলার জন্য।"
আরও পড়ুন : নথি ছাড়াই প্রাইমারিতে নিয়োগ? চাকরি পাওয়া ১৫০০০ শিক্ষকের তালিকা তলব হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত বিভিন্ন মাপকাঠির ওপর নির্ভর করেই কেন্দ্রের তরফে এই তকমা দেওয়া হয়। গবেষণা পঠন-পাঠন সহ একাধিক মাপকাঠির ওপর নির্ভর করেই দেশব্যাপী বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ গুলিকে দেওয়া হয় এই স্বীকৃতি। উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকদের ব্যাখ্যা এই প্রথম রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রের স্বীকৃতিতে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে চতুর্থ স্থানে উঠে এল। প্রথম ৫ এর মধ্যে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আসায় আগামী দিনে কেন্দ্রের অনুমোদন পেতে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়