আরও পড়ুন: ‘এগিয়ে বাংলা’ই, এবার পূর্ব ভারতের সেরা হাসপাতাল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ!
ঘটনাটি হল, প্রেমিক আমেরিকায় আর প্রেমিকা ভারতে। বিহারের ভাগলপুরে বাড়ি প্রেমিকের।
আমেরিকায় থাকা অবস্থাতেই প্রেম। বর্তমানে প্রেম পর্ব সম্পূর্ণ হয়ে তা বাগদানে পৌঁছেছে। বাগদত্তার কাছে যেতে চেয়ে আবেদন করেও প্রেমিকা ব্যার্থ হন। বেনিয়াপুকুর থানায় একটি চুরি, মারধর ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে পড়েন প্রেমিকা। পুরোনো ২০২৩ সালের মামলা ঘিরেই আটকে যায় বিদেশযাত্রা। সেই মামলার বিচার শুরু হয়নি। প্রেমিকার অভিযোগ, আমেরিকায় বাগদত্তার কাছে পৌছাতে না পারার জন্যই ষড়যন্ত্র করে বেনিয়াপুকুর থানায় মামলা করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দেই পছন্দ রাজ্যপালের,৪বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য
একটি মামলায় পর্যবেক্ষণে বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘বিচারাধীন মামলা’ দেখিয়ে দীর্ঘদিন কোনও নাগরিকের পাসপোর্ট, ভিসা আটকানো যায় না। পাসপোর্ট বিদেশযাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য। যাত্রা আটকানোর জন্য নয়।’
এই প্রসঙ্গে প্রেমিকার আইনজীবী সারওয়ার জাহান সওয়াল করেন, “এই ঘটনা প্রেমে বাধা দিচ্ছে পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ। এঁরা দুষ্টু লোক।”
এর প্রেক্ষিতে জানান পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের আইনজীবী নীলাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, “পাসপোর্ট আইনের কথাই আদালতে বলছি শুধু। ফৌজদারি বিচারাধীন মামলার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স না পেলে ভিসা, পাসপোর্ট দেওয়া যায় না।”
এর পাল্টা হিসাবে প্রেমিকার আইনজীবী সারওয়ার জাহান জানান, “বেশিরভাগ রাজনীতিকের পাসপোর্ট বাতিল হওয়া উচিত তাহলে। রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হওয়া উচিত।”
দুই আইনজীবীর মন্তব্য শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের অনেককে বিদেশেই দেখা যায়।’
বিচারাধীন মামলা থাকলেও আমেরিকা যেতে আর কোনও বাধা রইল না প্রেমিকার। হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন প্রেমিকা। হাজার বাধার শেষে অবশেষে জয় হল প্রেমের৷
নিউজ 18 বাংলা কে ওই প্রেমিকা জানান, “হাইকোর্টের নির্দেশ যখন পেয়েছি আমেরিকায় তখন রাত। সকাল হতেই সুখবরটা দেবো৷ বিচারপতি অমৃতা সিনহা ম্যাডামের জন্য এত দীর্ঘ অপেক্ষার পর ওর সঙ্গে দেখা করতে পারবো।” খুশিতে ঝকমক করে ওঠে তরুণীর মুখ।