পুলিশের অনুমান, পুর্ব পরিকল্পনা করে হোটেলে কিছু ঘণ্টার জন্য নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়েছে ওই যুবককে। খুনের পর যাতে কোনও প্রমাণ পুলিশ না পায়, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল অততায়ীরা। সম্ভবত, বেড শিট দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়,সেই বেড শিট সঙ্গে করে নিয়ে গেছে অততায়ীরা।
আরও পড়ুন: ‘দেখবি আর জ্বলবি…,’ হাইকোর্টের রায়ে বেজায় খুশি শুভেন্দু! উলটপুরাণ হঠাৎ কেন? কী কারণ?
advertisement
এখানেই শেষ নয়, এতটাই আততায়ীদের বুদ্ধি যে, যাতে তাদের কোনও ডিএনএ ট্রেস না পাওয়ার যায়, তার জন্য হোটেলের মধ্যে খাওয়া মদের বোতল ও সিগারেটের বাডসগুলো পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। হোটেলে ঢোকার আগেও তিনজন একসঙ্গে মদ্যপান করে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ।
ভুল আধার কার্ড দিয়েই হোটেলে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল। তাই সেই থেকেও আততায়ীদের পরিচয় জানতে পারার কোনও উপায় নেই৷ এখন শুধুমাত্র অভিযুক্তদের সিসিটিভি সূত্র ধরে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
হোটেলের সঙ্গীদের চিহ্নিত করে তদন্তে অগ্রগতি আনতে চাইছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেছে মৃত যুবকের দুজন সঙ্গীর ছবি দেখে চিহ্নিতকরণের কাজ করা হয়েছে। এখন তাদের খুঁজে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তের সূত্র পেতে চাইছেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকেরা। মৃত যুবকের ট্র্যাক রেকর্ডও দেখছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। মৃতের মোবাইল থেকে ডিজিটাল এভিডেন্স খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনাস্থল সিল করে রাখা হয়েছে। হোমিসাইড , সায়েন্টিফিক উইং ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর ফরেন্সিক টিমের আসার সম্ভাবনা।
জানা গিয়েছে, ওড়িশার বাসিন্দা বয়ান লাল নামে এক ব্যক্তির নামে হোটেলের তিন তলার একটি ঘর বুক করা হয়েছিল৷ কিন্তু গত বৃহস্পতিবারই হোটেল থেকে চেক আউট করেন ওই ব্যক্তি৷ এর পর শুক্রবার ওই ঘরে নতুন একজন আবাসিক আসেন৷ তিনিই হোটেলের ঘরের ভিতর থেকে পচা গন্ধ পেয়ে হোটেলের কর্মীদের জানান৷ তখনই খোঁজাখুঁজির পর ঘরের ভিতরে থাকা বক্স খাটের ভিতরে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়৷ এর পরেই পুলিশে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ৷ মৃতদেহে হাল্কা পচন ধরেছিল বলেই খবর৷ মৃত যুবকের মুখে, নাকে রক্ত জমাট বেঁধেছিল৷
