সেই বিক্ষোভের কারণ খুঁজতে গিয়ে একাধিক বিষয় জানতে পারেন উত্তর কলকাতার টালার বাসিন্দা সপ্তর্ষি চৌধুরী। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে ই-ফাইলিং প্রক্রিয়ায় একটি জনস্বার্থ মামলা করেন। জনস্বার্থ মামলার আবেদনে বলা হয়,রেশন দুর্নীতির আড়ালে রয়েছে একটি চক্র। সেই চক্রের আড়কাঠিদের গ্রেফতার ও বরখাস্তের আবেদন রাখা হয় জনস্বার্থ মামলায়। এছাড়া মানুষ নিজ নিজ রেশন কার্ডের প্রয়োজনীয় প্রাপ্য পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয় মামলায়। তাই কোন রেশন কার্ডে কী পরিমাণ রেশন বরাদ্দ তা রেশন দোকানের বাইরে তালিকা দিয়ে জানানোর আবেদন রাখা হয় মামলায়। সুষ্ঠু ও মসৃণ রেশনব্যবস্থা রাজ্যজুড়ে বজায় রাখার আবেদনও করা হয় মামলায়।সেই মামলার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি হয় শুক্রবার।
advertisement
মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতকে জানান, " রাজ্যের খোদ প্রশাসনিক প্রধান স্বীকার করে নিয়েছেন বিক্ষিপ্ত গোলমালের কথা। কয়েক শত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে। অবস্থায় বন্টন ব্যবস্থায় হাইকোর্টের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।"দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। মামলাকারী সপ্তর্ষি চৌধুরী জানান, "এক দেশ এক রেশন ব্যবস্থার সুবিধা নেই রাজ্যের। অনেক সুযোগ থেকেই মানুষ বঞ্চিত। করোনা আবহে রেশন একটা বড় অংশের মানুষের আশা ভরসা, সেখানে ঢিলেঢালা মনোভাব কীভাবে।"
অন্যদিকে রাজ্যের রেশনের রেশন বন্টনের অব্যবস্থা নিয়ে যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই দায়ের করা মামলাও ছিল । মামরাকারীর আইনজীবী শামিম আহমেদ জানান, " রাজ্যের সকল মানুষ করোনা পরিস্থিতিতে রেশন পাক এমন আবেদনে মামলা। প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে রিপোর্ট দিতে বললেও এখনও রিপোর্ট পাইনি। শীঘ্রই ফের আদালতের কাছে বিষয়টি নিয়ে যাব।"
Arnab Hazra