পাশাপাশি শীলা চট্টোপাধ্য়ায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করার যে নির্দেশ ঝালদার মহকুমা শাসক দিয়েছিলেন, তার উপরেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট।
যে ভাবে নির্বাচতি কাউন্সিলরকে পদ থেকে সরিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলরকে চেয়ারম্য়ান পদে বসানো হয়েছে, তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারক প্রশ্ন করেন, 'এত তাড়া কীসের?'
advertisement
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন যেদিন, সেদিনই অধীরের অভিযোগপত্র পেলেন নতুন রাজ্যপাল
হাইকোর্টের নির্দেশে আস্থা ভোটে জিতে গত ১৬ জানুয়ারি ঝালদা পুরসভার দখল নিয়েছিল কংগ্রেস। চেয়ারম্য়ান নির্বাচিত হন শীলা চট্টোপাধ্য়ায় নামে এক নির্দল কাউন্সিলর। যদিও দলত্য়াগ বিরোধী আইনে শীলা চট্টোপাধ্য়ায়ের কাউন্সিলর পদই খারিজ করে দেন মহকুমাশাসক। শীলা চট্টোপাধ্য়ায়কে চেয়ারপার্সন পদ থেকে সরিয়ে ঝালদার পুরপ্রধান করা হয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে চ্য়ালেঞ্জ করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন শীলা চট্টোপাধ্য়ায়। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি। এ দিন আদালত যে রায় দিল, তা নিঃসন্দেহে রাজ্য়ের কাছে বড় ধাক্কা।
ঝালদা পুরসভা নিয়ে পুরভোটের পর থেকেই টানাপোড়েন চলছে। ভোটের পরই খুন হন কংগ্রেসের নির্বাচিত কাউন্সিলর তপন কান্দু। যার জেরে পুরবোর্ড গঠন নিয়ে তৈরি হয় অচলাবস্থা। প্রথমে তৃণমূল সুরেশ আগরওয়াল পুরপ্রধানের পদে বসলেও আস্থা ভোটে তিনি পরাজিত হন। এর পর শাসক দলের এক কাউন্সিলরকেই প্রশাসক হিসেবে পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়। যদিও সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে হাইকোর্ট।
এর পর হাইকোর্টের নির্দেশেই গত ১৬ জানুয়ারি আস্থা ভোটে ঝালদা পুরসভা দখল করে কংগ্রেস। পুরপ্রধান নির্বাচিত হন শীলা চট্টোপাধ্য়ায়। তার পরই শীলা চট্টোপাধ্য়ায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়।
আরও পড়ুন: বাংলায় হঠাৎ বিজয় উৎসবে মাতল কংগ্রেস! কারণ জানেন
এ দিন সরকারি আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি বলেন, 'আদালতের নির্দেশে বৈঠকের মাধ্যমে ১৭ জানুয়ারি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন। ১৮ তারিখ তাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একজনকে নির্বাচিত করলেন। হেরে যাওয়া রাজনৈতিক দলের থেকে সুদীপ কর্মকারকে নির্বাচিত করলেন। আদালতকে একটু সম্মান করুন।'
জবাবে সরকারি আইনজীবী বলেন, 'এরা সকলেই পৌর প্রতিনিধি। পৌর আইনানুযায়ী যেকোনো প্রতিনিধিকে ঠিক করতে পারে প্রশাসন।'
যদিও সরকারি আইনজীবীর এই যুক্তিতে সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি। তিনি বলেন, 'ঠিক আছে, কিন্তু যাঁরা হেরে গিয়েছে তাদের মধ্যে থেকে কেন? প্রশাসনের এত তাড়া কীসের?' আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ফের এই মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে। ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাবেন পূর্ণিমা কান্দু।