এ বিষয়ে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে।
তবে মামলা বিচারাধীন থাকছে বলে জানিয়েছে আদালত।
পরবর্তী শুনানি ২৩ ডিসেম্বর। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে কলকাতা পুরভোটে স্থগিতাদেশ আবেদন খারিজ করা হল। তবে, ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের ১১১ পুরসভার ভোটের নূন্যতম দফা অনুযায়ী সম্ভাব্য নির্ঘন্ট খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অর্থাৎ, বিজেপি-র কোনও আর্জিই যে আদালতে ধোপে টিকল না, তা একপ্রকার স্পষ্ট।
advertisement
আরও পড়ুন: চমকেই বাজিমাতের লক্ষ্য, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের শেষ মুহূর্তের তারকা-টাচ!
তবে, এদিন আদালত বুঝিয়ে দিয়েছে, দ্রুত রাজ্যের ১১১ পুরসভার ভোট চায় হাইকোর্ট। রাজ্যের যুক্তি ছিল কোভিড পরিস্থিতি, মার্চ এপ্রিল পরীক্ষা মাস সব চুকিয়ে মে ২০২২ মধ্যে সমস্ত পুরভোট করা হবে রাজ্য। অন্যদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের যুক্তি ছিল, একসঙ্গে ভোট করার মতো ইভিএম অপ্রতুল। তাই সব পুরভোট একসঙ্গে করা সম্ভব হচ্ছে না। জাতীয় নির্বাচন কমিশন ও ২০ রাজ্যের কাছে ইভিএম ধার চেয়েও মেলেনি বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তাই রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই ১১১ টি পুরসভার ভোট করতে চাইছে কমিশনও।
আরও পড়ুন: ফুলবাগান-বেহালা-বাঘাযতীন, নেত্রীর ত্রিমুখী কর্মসূচিতেই কলকাতা-বিজয় চাইছে তৃণমূল!
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরভোট করার পর হাতে ৮৪৭৭ ইভিএম থাকছে। এই ইভিএম দিয়ে বাকি পুরসভায় ভোট কেন হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। নির্বাচন কমিশনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, ১১১ টি পুরসভায় একসঙ্গে ভোট করতে প্রয়োজন আরও অন্তত ২০,০০০ ইভিএম। যা কোনও ভাবেই পাওয়া সম্ভব নয়। এ নিয়ে টানটান শুনানি হয়েছে হাইকোর্টে। কিন্তু বিজেপি-র দাবি মতো রাজ্যের সব পুরভোট একসঙ্গে যে হচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল এদিনই।