২০২০ সালের ১৭ মে মল্লারপুরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় খাদ্য দফতরের কর্মী এবং তাঁর ১৭ বছরের মেয়ের মৃতদেহ। মেয়ের শরীরে পুরনো পোড়ার দাগ সারানোর নাম করে অভিযুক্ত সুনীল দাস প্রায় ১.৬১ লক্ষ টাকা নেন। যজ্ঞ করার নাম করে সুনীল। কাজুবাদাম বাটায় ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মা-মেয়েকে খাইয়ে অচেতন করে দেন। এরপর প্রথমে মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং পরে মা-মেয়েকে খুন করা হয়।
advertisement
বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ- খুনের ধারা আইপিসি ৩০২ অনুযায়ী, ডাক্তারি রিপোর্টে প্রমাণিত, মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ ও মুখ বেঁধে রাখার কারণে। তাই খুনের অভিযোগ প্রমাণিত। ধারা ২০১ অনুযায়ী, ঘটনার প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টাও ধরা পড়েছে।
কিন্তু ধারা ৩৭৬ অনুযায়ী, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে এই অভিযোগ খারিজ। ট্রায়াল কোর্ট মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছিল। কিন্তু হাইকোর্ট রায়ে জানায়, যদিও অপরাধ জঘন্য, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। তাই মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়ে ধর্ষণের অভিযোগ খারিজ হলেও খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।