জানা গিয়েছে ওড়িশার জলেশ্বরের বাসিন্দা ওই নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলেজের এক সহপাঠীর সঙ্গে ফুচকা খেতে বেরিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় ফাঁকা রাস্তায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের উত্যক্ত করতে শুরু করে, বলে কটূ কথা। এমনকি, ওই পড়ুয়ার সঙ্গে থাকা বন্ধুকে তাড়া করে সেই দুষ্কৃতীরা। ভয়ে পালিয়ে যায় সে, তারপর ঘটে পৈশাচিক কাণ্ড। মেয়েটিকে একা জঙ্গলে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা, চলে অকথ্য অত্যাচার। গণধর্ষণের পর নির্যাতিতার মোবাইল কেড়ে নেয় অভিযুক্তরা। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি ওই নির্যাতিতা।
advertisement
এই ঘটনায় জোর কদমে তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আবারও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে বিরোধী শিবির, আসরে নেমেছে বিজেপি। পিছিয়ে নেই বামেরাও। ইতিমধ্যে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন নির্যাতিতা বাবার ফোন করেন তিনি, খোঁজ নেন এফআইআর দায়ের হয়েছে কিনা।
কাঁদো কাঁদো গলায় নির্যাতিতার বাবা তাঁকে জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ জানান হয়েছে। পাশাপাশি, তরুণীর সঙ্গে গত সন্ধ্যায় যে সহপাঠী ছিলেন তাঁকে আটক রাখা হয়েছে। ফোনালাপে নির্যাতিতার বাবাকে শুভেন্দু আরও বলেন, “চিকিৎসার জন্য কিছু প্রয়োজন পড়লে আমাকে জানাবেন। আপনি যদি ওখানে চিকিৎসায় সন্তুষ্ট না হন, অবশ্যই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কলকাতার কোনও একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেব।’ ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের গণধর্ষণের ঘটনায় পথে বিক্ষোভে বসেছেন দুই বিজেপি বিধায়ক। একজন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই, অন্যজন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।
আরও পড়ুন: ‘মেয়ের সঙ্গে টয়লেট করতে ট্রেনে…’ টিকিট চাইতেই বললেন 1st AC-র যাত্রী,টিটি শুরু করলেন খেলা
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে কাঠগড়ায় টেনে এনে হাসপাতালের সামনেই ধর্নায় বসেছেন তাঁরা, ডাক দিয়েছেন অনশনেরও। তবে এবার রাজ্যে মহিলাদের রাজনীতি জাতি ধর্ম বিভেদ ভুলে সকলকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন নারীদের সুরক্ষার স্বার্থে সকলকে রাজনীতি ভুলে নিজেদের কথা ভেবে আগামী দিনে এক থাকতে হবে এক হতে হবে।