ধানতলা, নোকারী, পূণ্যনগর, মাঠকুমড়া এলাকায় অধিকাংশ মানুষ ফুলচাষের ওপর নির্ভরশীল। এখানে ধান, গম বা সবজি নয়, একমাত্র ফুলই জীবিকার প্রধান ভরসা। নদিয়ার এই অঞ্চলগুলির ফুল শুধু রাজ্যের বাজারেই নয়, পৌঁছে যায় দিল্লি, মুম্বাই, গুজরাট, শিলিগুড়ি, কুচবিহার থেকে শুরু করে বিদেশের বাজারে। ভুটান ও নেপালেও যায় এই জায়গার ফুল। প্রতি বছর কালীপুজো, ভাইফোঁটা ও বিবাহ মরশুমে চাহিদা থাকে বিপুল। ফলে এই সময়েই চাষিরা সবচেয়ে বেশি আয় করেন। কিন্তু এবারের অপ্রত্যাশিত আবহাওয়া সমস্ত হিসেব ওলটপালট করে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : কাজ এখন ‘বাঁ হাতের খেলা’, প্রোডাকশন হচ্ছে দ্বিগুণ! একটা মেশিন বদলে দিল কুমোরদের ভাগ্য
স্থানীয় ফুলচাষি নির্মল বিশ্বাস জানান, “এমন পরিস্থিতি আগে কখনও হয়নি। ফুলগাছ পচে যাচ্ছে, যা একটু ভাল আছে, সেটিও পাঠানো যাচ্ছে না বৃষ্টির জন্য। ফুল কাটার পর গাড়ি আসতে পারছে না, বাজারে তুলতে পারছি না।” ফুল ব্যবসায়ী রাজীব পাল বলেন, “চাষিরা ফুল তুলতে পারছেন না, আমরা ফুল পাঠাতে পারছি না। কালীপুজোর আগে এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা অসম্ভব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বৃষ্টির কারণে পরিবহণ ব্যবস্থাও ব্যাহত হয়েছে। অনেক ট্রাকচালক জলমগ্ন রাস্তায় যেতে চাইছেন না। ফলে ফুল বাজারে পৌঁছাতে পারছে না ঠিক সময়ে। ফুল পচে যাচ্ছে মাঠেই। আর দামও পড়ে যাচ্ছে বাজারে। চাষিদের আশা, প্রকৃতি শীঘ্রই স্বাভাবিক হবে। সূর্যের আলো ফিরে এলে নতুন করে চাষ শুরু করবেন তাঁরা। কিন্তু আপাতত নিম্নচাপের থাবায় বিপর্যস্ত নদিয়ার ফুলচাষ। যার প্রভাব পড়বে রাজ্যের উৎসবের ফুল সরবরাহেও।