বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এদিন আরও বলেন, ''ভোট পরিচালনার প্রশ্নে সর্বোচ্চ ক্ষমতা আছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের আছে। এই গুরুতর পরিস্থিতিতে আদালত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিক।'' এদিকে বিজেপি-ও ৪ পুরনিগমের ভোট পিছোনোর আবেদন করল প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে৷
বিজেপি আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, ''রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। ৪০% কাছাকাছি কোভিড পজিটিভিটি রেট রাজ্যে। এই বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া অন্য বিকল্প কিছু নেই।'' যদিও কমিশনের আইনজীবী বলেন, ''ভোটের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে প্রথমে রাজ্য। আইন তাই বলছে। আমরা রাজ্যের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করি।''
advertisement
এরপরই প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, ''সংবিধান তো বলছে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। তাহলে রাজ্যকে কমিশনের হ্যান্ডস বলতে চাইছেন কেন? কমিশন বলছে রাজ্য দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে, আর রাজ্য বলছে আলোচনার ভিত্তিতে ঠিক হয় নির্ঘন্ট।
কোনটা ঠিক?''
এরপরই কমিশনের আইনজীবী বলেন, ''দিনক্ষণের প্রাথমিক প্রস্তাব দেবে রাজ্য। তারপর আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নির্ঘন্ট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে কমিশন।'' যদিও রাজ্যের তরফে এদিন আইনজীবী বলেন, ''ভোট পরিচালনা ও ভোট পিছোনোর প্রশ্নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই।''
আরও পড়ুন: রোজ যাচ্ছে ৮০০ ঝুড়ি! বড়বাজারের এই দোকান থেকে আরোগ্য-ফল পাঠাচ্ছে রাজ্য
এরপর আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, আর কোনও অতিরিক্ত সময় কমিশনকে দেওয়া যাবে না। কমিশনের আইনজীবী জেনে এসে জানাক, ভোট পিছোনোর কোনও আইনি পথ বা সংস্থান আছে কিনা তাদের কাছে।'' এরপরই কমিশনের আইনজীবী কোর্ট রুম ছেড়ে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন: চিনের অত্যাচার! করোনা আক্রান্ত সন্দেহ হলেই বন্দি ছোট্ট খাঁচায়, দেখুন ভয়ানক ভিডিও
এরপর ফের কমিশনের চূড়ান্ত অবস্থান জানিয়ে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে তারা জানায়, কমিশনের ক্ষমতা নেই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার। যদি রাজ্য না বিপর্যয় ঘোষণা করে। কমিশনকে সংবিধান বোঝাচ্ছেন এখন প্রধান বিচারপতি। কমিশন কোভিড পরিস্থিতি যাচাই করতে অক্ষম। রাজ্য কোভিড পরিস্থিতি জরিপ করে বললে, তবেই কমিশন সেটা বুঝবে, এটাই বলতে চাইছে তো কমিশন। প্রধান বিচারপতির নানা প্রশ্নের মুখে কমিশনের আইনজীবী।