বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার দিন থেকে পুনরায় সংযোগ জুড়ে দেওয়ার দিন পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে নজিরবিহীন রায়দান কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের। মালদহ হরিশ্চন্দ্রপুরের সুকান্ত সিংহকে ৬০৭০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের। ৪ মার্চ ২০২২ এর মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
advertisement
মালদহ হরিশ্চন্দ্রপুরের সুকান্ত কুমার সিংহ ২ টি বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। একটি বাণিজ্যিক সংযোগ যা দিয়ে পোলট্রি ফার্ম চালাতেন। দ্বিতীয় বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল বাড়ির অর্থাৎ ডোমেস্টিক কানেকশন। ২০১৭ সালের বন্যায় পোলট্রি ফার্ম নষ্ট হয়ে যায়। ১৮০০০/- টাকা বকেয়া বিল দেখিয়ে বাণিজ্যিক সংযোগ কেটে দেয় বণ্টন সংস্থা (WBPDCL)। শুধু তাই নয় বাণিজ্যিকের পাশাপাশি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেয় বন্টন সংস্থা কোনও কারণ না দেখিয়ে।
এরপর ২০০ আবেদন বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থায় করেও বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কাটার কোনও উত্তর পায়নি সুকান্ত সিংহ। কার্যত ৪ বছর বিদ্যুৎহীন থাকে তাঁর বাড়ি। বিদ্যুৎ দফতরের সংশ্লিষ্ট GRO এবং ন্যায়পালে আইনি লড়াই পৌঁছয়। ন্যায়পাল বিদ্যুৎ সংযোগ জুড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দেয় সেপ্টেম্বর ২০২১। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBPDCL)। সেই মামলাতেই সাম্প্রতিক সময়ের নজিরবিহীন রায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের।
আরও পড়ুন : সরস্বতী পুজোর পরদিন রাজ্যে কোভিড গ্রাফে স্বস্তি, হাজারের নিচে নামল দৈনিক সংক্রমণ!
গ্রাহক সুকান্ত সিংহ আইনজীবী সুনীত কুমার রায় জানান, " বিদ্যুৎ ন্যায়পাল ১.২ লক্ষ টাকার মত ক্ষতিপূরণ ও বিদুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আসে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা (WBPDCL)। আমরা ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর আবেদন নিয়ে আদালতে যাইনি। ঘটনার গভীরতা বিচার করে হাইকোর্ট এক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করে ক্ষতিপূরণ প্রতিদিন ৫০০টাকা ধরে ৬.০৫ লক্ষ টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।"