রাজ্যের সরকারি কৌঁসুলি অনির্বাণ রায় আদালতে জানান, ১০ লাখ মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে ধর্মতলায় ২১ জুলাই সভায়। ৭০০০ গাড়ি আসবে হাওড়া হয়ে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে আসবে এই গাড়ি। পাশাপাশি হাওড়া গ্রামীণ থেকেই ৫০০-৬০০ গাড়ি আসবে। এছাড়া ট্রেনে করেও মানুষ আসবে।
এছাড়া পায়ে হেঁটে হাওড়ার দিক থেকে মানুষ আসবে সমাবেশে।
advertisement
২ বছর পর ধর্মতলায় ২১ জুলাই সমাবেশ। পুলিশ ব্যস্ত থাকবে বিপুল জনসমাগম সামাল দিতে। রাত ৮টের সময়েও হাওড়ার মূল সড়ক, ৬ নং জাতীয় সড়ক এবং অন্যান্য রাস্তায় যানজট থাকবে। গাড়ি করে সমাবেশ থেকে ফিরবে মানুষ। সেই সময় পুলিশের পক্ষে সম্ভব হবে না বিজেপির সভার আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা। শুধু কলকাতায় ৩৭০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন থাকবেন। সভাস্থলের জায়গার অনুমতি নেই।
আরও পড়ুন: ২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট-এও প্রশ্ন ভুল! ৮ প্রশ্ন নিয়ে নালিশ শুনবে হাইকোর্ট
বাউরিয়া জুট মিল চত্বরের বিজেপি সভা করার নির্ধারিত জায়গার অনুমতি দেয়নি জমি মালিক।জমি মালিক অনুমতি না দিলে সভার পুলিশি অনুমতির প্রশ্নই নেই। এরপরই বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বিজেপির আইনজীবীকে বলেন, পুলিশ যেখানে আইন শৃঙ্খলা সমস্যা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে, সেখানে এই আশঙ্কা জেনেও কেন ২১ জুলাই উলুবেড়িয়া সভা করতে চাইছে বিজেপি? ১০ লাখ মানুষের জমায়েত যেখানে ২১ জুলাই ধর্মতলায়, সেখানে ২০০০ মানুষের জমায়েত নিয়ে বিজেপি সভা ২১ জুলাই না করে কেন ২২ জুলাই বা পরে করছে না?
আরও পড়ুন: শহিদ দিবসের প্রস্তুতি চরমে, ২১ জুলাইয়ের আগে কর্মী সমর্থকদের পাঞ্জাবি উপহার অভিষেকের!
একই প্রশ্ন মঙ্গলবারেও তুলেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি। ২১ জুলাই তৃণমূলের (TMC) শহিদ দিবসের পালটা সভা করার আইনি অনুমতি চেয়ে আদালতের তোপের মুখে পড়ে বিজেপি। ঠিক কেন ২১ জুলাইয়ের দিনই বিজেপির সভা করতে চাওয়া কেন? সরাসরি এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য বিজেপিকে। দলের হয়ে আইনজীবী উত্তর দিলেও তা না-পসন্দ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) বিচারপতির। হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ এই সভার অনুমতি না দেওয়ায় হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। সেই মামলায় আপাতত নজর দুপুর আড়াইটের দিকে।