কমপক্ষে ৯ বছর ৬ মাস সার্ভিসের মেয়াদ হলে বাকি ৬ মাস বাড়তি সার্ভিস (গ্রেজ পিরিয়ড) দেখিয়ে পেনশন দিয়ে দেওয়া দস্তুর রাজ্যে। শ্রীকান্তবাবুর ১ দিন কম থাকায় সেই সু্বিধা দেয়নি শিক্ষা দফতর। ১ দিনের খুঁত ধরতে গিয়ে বেরিয়ে এল আরও বড় খুঁত। আর এই খুঁত শিক্ষা দফতরের। ২০১১ সালে মামলা করে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পান শ্রীকান্ত কুমার জানা। হাইকোর্ট ১০ মার্চ ২০১১ মেধাতালিকা নতুন করে গড়ে শ্রীকান্ত বাবুকে চাকরির নির্দেশ দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন-সত্যিটা জানলে ভুলেও সুপারমার্কেট থেকে কিনবেন না, আপেল নিয়ে এই কয়েকটা কথা না জানলেই নয়!
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ, আদালতের নির্দেশ পর শ্রীকান্ত কুমার জানাকে চাকরি দিতে ৪ সময় নিয়েছে। এই সময় সর্বোচ্চ ১ মাস জরুরি। অর্থাৎ ৩ মাস দেরি করেছে শিক্ষা দপ্তর। এখানেই শেষ নয়, ১৪ জুলাই ২০০৭ শিক্ষা দফতর চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিলেও ১৫ দিন দেরি করে স্কুল।
২০১১ সালে শ্রীকান্ত কুমার জানার নিয়োগ দিতে সর্বমোট ১০৫ দিন দেরির জন্য দায়ী আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা।
আমলাদের ৩ মাস দেরির জন্যই ১ দিন সার্ভিস কম বলে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ আদালতের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেয় শিক্ষা সচিবের ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ নির্দেশিকা বাতিলের। ১ দিনের কম সার্ভিস পুনরায় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২ মাসের মধ্যে। শ্রীকান্ত কুমার জানা আইনজীবী অঞ্জন ভট্টাচার্য জানান,আমলাদের দেরির কারণে আর কেউ যেন ভুক্তভোগী না হন সেটাই নির্দেশের মর্মার্থ।আমার মক্কেল হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পর পেনশন সংক্রান্ত সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।