রাজ্যপাল সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট বিল নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কিছু ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৫ই ডিসেম্বরে সেই ব্যাখ্যা চেয়েছিল রাজভবন। কিন্তু সেই ব্যাখ্যার কোনও উত্তর এখনও তিনি পাননি বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
নিজের পোস্টে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, বিল সংক্রান্ত ব্যাখ্যা চাওয়ার কপি বিধানসভার স্পিকারকেও পাঠানো হয়েছিল। বিল বিধানসভায় পাশ হবার পর কংগ্রেস ও বামেদের তরফে বিরোধী নেতারা তৎকালীন রাজ্যপালের কাছে এসেছিলেন। তাঁরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তদের শাস্তির বিষয়ে তাঁদের কিঞ্চিৎ আপত্তি রয়েছে।
advertisement
রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘‘বিলটির বিষয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কিছু ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছিলাম আমি। সেই ব্যাখ্যা এখনও মেলেনি। ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে সেই ব্যাখ্যা বকেয়া পড়ে রয়েছে।’’
আরও পড়ুন: হাথরসে পদপিষ্ট হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৬! যোগীকে ফোন করলেন মোদি
কখনও ‘চোর’, কখনও ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে বা কখনও ‘ডাইনি’ অপবাদে গণপিটুনির ঘটনা এ রাজ্যে প্রায়শই শোনা যায়। সে সব রুখতে ২০১৯ সালে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বিল এনেছিলেন। ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিঞ্চিং) বিল, ২০১৯’ পাশ হয়ে গিয়েছিল সেই বছরের অগস্ট মাসেই। সেই বিলে গণপিটুনিতে মৃত্যু হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড চেয়েছিলেন মমতা। কিন্তু পাঁচ বছর কেটে গেলেও সে বিল আইনে পরিণত হয়নি৷
প্রসঙ্গত, ১ জুলাই থেকে দেশ জুড়ে যে নয়া ফৌজদারি আইন (দণ্ড সংহিতা) চালু হয়েছে, তাতেও সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে।