advertisement
ব্রাত্য বসুর কথায়, ''রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যপাল।
এরকম চ্যান্সেলর থাকলে, শিক্ষা ব্যবস্থা বিপজ্জনক হবেই৷ আমরা তাও শিক্ষা ব্যবস্থা ভালো করে চালাচ্ছি। এতদিন সিবিআই, ইডি ছিল। এখন রাজ্যপাল ইউজিসি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন। কোনও প্রস্তাব নেন না। উনি সব হিমঘরে পাঠান। উনি ফাইল আটকে রাখেন। বিন্দুমাত্র সহযোগী করেন না।'' এরপরই ব্রাত্য বসু বলেন, ''খতিয়ে দেখা হচ্ছে, চ্যান্সেলর (আচার্য) পদ থেকে ওঁকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আনা যায় কিনা। উনি আলোচনায় আসেন না। এই মনোভাব কেন? উনি কী চান, তা উনিই বলতে পারবেন।''
আরও পড়ুন: সামনের বছর ১০ দিন আগে থেকে দুর্গাপুজো উদযাপন, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের অভিযোগ, ডাকা সত্ত্বেও ওই উপাচার্যদের কেউ রাজভবনে আসেননি। শুক্রবার সকালেই বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করেছেন রাজ্যপাল। ট্যুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ''মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থায় চিত্রটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উপাচার্য রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে আসেননি। রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা চলছে। আইনের নয়, শিক্ষাব্যবস্থায় শাসকের আইনের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। রাজ্যজুড়ে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।''
আরও পড়ুন: সুব্রত মুখোপাধ্যায় তখন মেয়র, মমতা ফিরে গেলেন নিজাম প্যালেসের সেই ৩ দিনের ঘটনায়...
আর রাজ্যপালের এই ট্যুইটের কিছুক্ষণের মধ্যেই এবার মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী। ইঙ্গিত দিলেন চ্যান্সেলর পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্থলাভিষিক্ত করার। যদিও এ বিষয়ে এখনও রাজ্যপালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।