মেট্রো রেলের কাজের জন্য একের পর এক বাড়িতে বিশাল ফাটল,বাড়ি হেলে পড়েছিল। আতঙ্ক,ভয়ে ঘরছাড়া হয়েছিলেন অনেকেই।
আবারও দুঃস্বপ্নের স্মৃতি তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রত্যেককে।
আরও পড়ুন: ফের কী হল অনুব্রত মণ্ডলের! রাতেই শোরগোল, তৃণমূল নেতাকে আনা হল কলকাতায়
রিনা চক্রবর্তী, ৭২ বছর বয়স। ২ বছর ৯ মাস আগের সেই ভয়াল, করাল স্মৃতি আবারও বৃদ্ধাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। পণ করেছেন এবার আর শ্বশুরবাড়ির ভিটে ছাড়বেন না। আর কত আতঙ্কে দিন কাটাতে হবে। রিনা দেবী জানাচ্ছেন, "মানুষ একবার,দুবার ভয় পেতে পারে, কিন্তু আমরা যেভাবে দিনের পর দিন আতঙ্কে এখানে বাস করছি, তা একমাত্র আমরাই জানি। তিন বছর আগে যেভাবে ঘরছাড়া ছাড়া হয়েছিলাম, সেই দুঃস্বপ্ন এখনও তাড়া করে বেড়ায়। মেট্রো রেল কোনরকম ভাবে বাড়ি সারিয়েছিল,তারপর থেকে প্রতি রাতে বাড়ি কাঁপতে থাকে গাড়ি গেলেই, আর বাড়ির সর্বত্র ফাটল বেড়েই চলেছে। বারবার মেট্রোকে বলেও কোনও লাভ হয় নি। স্থানীয় কাউন্সিলর,কলকাতা পুরসভার কাছে দরবার করেছি, আর কার কাছে যাবো? তবে মেট্রো রেলের একটা অফিস আমাদের বউবাজারে রয়েছে, সেখানে কতবার গিয়ে বলেছি, তাও কোনো সুরাহা হয়নি। আতঙ্ক নিয়েই আমাদের দিন কাটাতে হবে। "
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলায় হবে আরও অনেক জেলা? জানিয়ে দিলেন মমতা! সমস্যা শুধু একটি বিষয়
৯৫ নম্বর বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের বাসিন্দা অশোক দাস এখনও আতঙ্কিত। তার কথায়," আর কতদিন এইরকম ভয় নিয়ে দিন কাটাতে হবে, জানি না। দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায় প্রতিদিন। মেট্রো রেলের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি। আমাদের মতন অসহায় পরিবার গুলোর পাশে কেউ কি দাঁড়াবে না! " আর এটাই প্রশ্ন বউবাজারের বাকি বাসিন্দাদেরও। সকাল থেকেই নেতা মন্ত্রী পুলিশের আনাগোনা, তবু সুদিন কি ফিরবে বউবাজারের? অনেক প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে গেছে, তবু বউবাজার রয়ে গেছে সেই বউবাজারেই।